রপ্তানি আয়: ২০৪১ সালে ৩০০ বিলিয়নের লক্ষ্য
২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া খাতে রপ্তানি আয় ৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে প্রত্যাশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রপ্তানি খাতকে বহুমুখীকরণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ।
সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে চতুর্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হলে তৈরি পোশাক এবং চামড়া খাতসহ সব খাত মিলে ২০৪১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেত হবে। এ অর্জনে দেশের রপ্তানি খাতকে বহুমুখীকরণ করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
“আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়।”
২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া খাতে রপ্তানি আয় ৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে প্রত্যাশা করেন টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবতি করার অন্যতম হাতিয়ার রপ্তানি বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে আবির্ভূত হয়েছে। রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধি সুসংহতকরণ এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি ক্রেতা-ব্র্যান্ডস ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ অন্যদের মধ্যে সম্মেলনে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এলএফএমইএবির সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান এবং এলএফএমইএবির উপদেষ্টা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি সায়ফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
“রপ্তানি আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চামড়াজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক এগিয়ে গেছে, যা আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখেছে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরতে ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই। ব্লিস-২০২৩ এ লক্ষ্য অর্জনে অসামান্য অবদান রাখবে “
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ে তৈরি পোশাক খাত ৮৫ শতাংশ দখল করে আছে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “এ খাত এক দিনে এ জায়গায় আসেনি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্প খাতসহ সব রপ্তানি শিল্পের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।”
মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় পণ্যগুলোর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং ও বিপণনে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সময়োপযোগী নানা পদক্ষপে নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আগামী ১২-১৪ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস-২০২৩ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আগামী ১২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করবেন।
প্রদর্শনীর পাশাপাশি ৩টি ব্রেকআউট সেশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে ২০০ এর অধিক শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, নীতি নির্ধারক এবং দেশি-বিদেশি অতিথি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
কমেন্ট