বন্ধ সব পোশাক কারখানা খুলছে বুধবার
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প অধ্যুষিত সব এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্ম পরিবেশ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। ফলে বন্ধ থাকা সব কারখানা বুধবার থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অবশ্য রাজধানীর মিরপুরের কয়েকটি কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। এসব কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আলোচনা চলছিল।
এর আগে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার বন্ধ ৩ কারখানাও মঙ্গলবার খুলে দেওয়া হয়। সোমবারই ওই এলাকার অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছিল। এসব কারখানাগুলোয় স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে।
বিবৃতিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “কাজে ফেরার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আশুলিয়া এলাকার সব বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। কাজ করার আগ্রহ জানিয়ে শ্রমিকরা মালিকদের আশ্বস্ত করেছে। ফলে বুধবার আশুলিয়ার সকল বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া হবে।”
এর আগে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে থেকে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।
শ্রমিক ও মালিকদের কোনোরকম হয়রানির শিকার না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সনির্বদ্ধ অনুরোধ, পোশাক কারখানাসহ সকল ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিন। এলাকায় সুষ্ঠূ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করুন।”
“সর্বোপরি, জানমালের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করুন। তবে এতে করে কোনো শ্রমিক ভাইবোন বা কর্মচারী এবং মালিক যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন। এ বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।”
এর আগে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিক বৈঠকের পর গত ৭ নভেম্বরের সভা শেষে মূল মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে পোশাক শ্রমিকদের জন্য সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। এটি আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা।
সেদিন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে ঘোষিত মজুরিকে প্রত্যাখ্যান করে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আগে থেকেই আন্দোলনে থাকা এসব সংগঠনের আন্দোলন আরও বেগবান করা হয়। এ সময় বেশ কিছু কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় অজ্ঞাতরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজিএমইএ।
কমেন্ট