সাইকেল রপ্তানির চাকা ঘুরছে আবার

সাইকেল রপ্তানির চাকা ঘুরছে আবার

ইউরোপের দেশগুলোতে রয়েছে বাইসাইকেলের ব্যাপক চাহিদা।

বাংলাদেশের রপ্তানির নতুন পণ্য হিসেবে বেশ ভালো আশাই জাগিয়েছিল বাইসাইকেল। পরিবেশবান্ধব দুই চাকার এই বাহন রপ্তানি করে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছিল।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১২০ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা ছিল এই পণ্য রপ্তানিতে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

ওই হিসাব দেখে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন দেশের বাইসাইকেল নির্মাতারা; বিনিয়োগও বাড়িয়েছিলেন। সরকারও প্রণোদনার পাশাপাশি নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছিল।

কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সেই আশার গুঁড়ে ফেলেছিল বালি। হিসাব-নিকাশ উল্টে সাইকেল রপ্তানি থেকে আয় তলানিতে নেমেছিল।

তবে সুখবর হচ্ছে—ফের আশার আলো দেখা দিয়েছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই খাতের রপ্তানি। প্রতি মাসেই বাড়ছে। পরিবেশবান্ধব বলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাইসাইকেল এখন আগের মতোই রপ্তানি হচ্ছে। ব্রিটেন, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাইকেল রপ্তানি হয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ব্রিটেন এবং জার্মানি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সবশেষ তথ্যে দেখা যায়,চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৪ কোটি ২৩ লাখ ডলারের সাইকেল রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই পাঁচ মাসে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের বিদেশি মুদ্রা।

সবশেষ নভেম্বর মাসে বেড়েছে ১৫৭ শতাংশ। এই মাসে সাইকেল রপ্তানি থেকে ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে আয় হয়েছিল ৩৫ লাখ ১০ হাজার ডলার।

অথচ গত অর্থবছরে এই খাত থেকে আয় কমেছিল ৪২ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরে কমেছিল ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাইকেল রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১৪ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বাইসাইকেল রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে; ওই অর্থবছরে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় হয়েছিল। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৮ দশমিক ৩১ শতাংশ।

২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল আরও বেশি ৫৮ শতাংশ; ওই অর্থবছরে ১৩ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার আয় হয়েছিল তার আগের অর্থবছরে (২০১৯-২০) আয়ের অঙ্ক ছিল ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান এখন বাইসাইকেল রপ্তানি করে। একটি হচ্ছে- মেঘনা গ্রুপ। আরেকটি প্রাণ-আরএফএলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

দুটি প্রতিষ্ঠানই গত কয়েক বছরে বাইসাইকেল রপ্তানি বাড়াতে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে; বাড়িয়েছে বিনিয়োগ।

মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশই রপ্তানি করে মেঘনা গ্রুপ। এই গ্রুপের পরিচালক লুৎফুল বারী এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “বেশ ভালোই চলছিল। প্রতি বছরই রপ্তানি বাড়ছিল; আমরা বিনিয়োগ বাড়াচ্ছিলাম। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সব তছনছ করে দিয়েছিল। রপ্তানি একেবারেই কমে গিয়েছিল। আশার কথা হচ্ছে, সেই ধাক্কা কেটে গেছে। ফের বাড়তে শুরু করেছে রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রপ্তানি বাড়ছে। এখন প্রতি মাসেই বাড়ছে।”

“আমাদের সাইকেলের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপের দেশগুলো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোপীয় অর্থনীতি বেশ সংকটের মধ্যে পড়েছিল। সব দেশেই মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছিল; অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছিল। তার প্রভাব পড়েছিল সাইকেল রপ্তানিতে। এখন সে সংকট কেটে গেছে। মানুষ আগের মতোই সব পণ্য কিনছে। তাই সাইকেল রপ্তানিও বাড়ছে।”

এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলে সাইকেল রপ্তানি থেকে আগের চেয়েও বেশি বিদেশি দেশে আসবে বলে জানান লুৎফুল বারী।

“আমরা প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি। উৎপাদন বাড়িয়েছি। আশা করছি, গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে ২৫-৩০ শতাংশ বেশি রপ্তানি হবে।”

একই কথা বলেছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন বিভাগের পরিচালক কামরুজ্জামান কামালও।

এআরএইচ ডট ডট নিউজকে তিনি বলেন, “বেশ ভালোই চলছিল। প্রতি বছরই রপ্তানি বাড়ছিল। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও বেশ ভালো রপ্তানি করেছিলাম আমরা। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের টালমাটাল অবস্থায় রপ্তানি কমে গিয়েছিল। এখন আগের অবস্থা ফিরে এসেছে। রপ্তানি বাড়ছে।”

রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের বছরে ৯ লাখ বাইসাইকেল তৈরির সক্ষমতা আছে। যার এক-তৃতীয়াংশ ইউরোপে রপ্তানি করা হয়। বাকিটা দেশের বাজারে বিক্রি হয়।

“পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাড়াতে আমরা বিনিয়োগ উৎপাদন বাড়িয়েছি; পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি,” বলেন কামরুজ্জামান কামাল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যানবিষয়ক সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৃতীয় ও বিশ্বের অষ্টম বাইসাইকেল রপ্তানিকারক দেশ।

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া বাইসাইকেলের ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে। বাকিটা যায় ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে।

যখন থেকে শুরু

২৮ বছর আগে ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে তাইওয়ানের কোম্পানি আলিতা বাংলাদেশ লিমিটেড স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল রপ্তানি শুরু করে। পরে এই ধারায় যুক্ত হয় মেঘনা গ্রুপ।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম দিকে এ খাত থেকে তেমন আয় না হলেও ২০০৮ সাল থেকে বাড়তে শুরু করে রপ্তানি।

রপ্তানিকারকরা জানান, বর্তমানে ফ্রিস্টাইল, মাউন্টেন ট্রেকিং, ফ্লোডিং, চপার, রোড রেসিং, টেন্ডমেড (দুজনে চালাতে হয়) ধরনের বাইসাইকেল রপ্তানি হচ্ছে।

এসব সাইকেল তৈরির জন্য কিছু যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হলেও বেশির ভাগ যন্ত্রাংশই দেশে তৈরি হচ্ছে। বিশেষত চাকা, টিউব, হুইল, প্যাডেল, হাতল, বিয়ারিং, আসন তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

১৯৯৬ সালে তেজগাঁওয়ে সরকারি বাইসাইকেল তৈরির প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয় মেঘনা গ্রুপ। এরপর ১৯৯৯ সাল থেকে রপ্তানি শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রেড, ফেরাল ও ইনিগো- এই তিন ব্র্যান্ডের মাধ্যমে ইউরোপ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার কঙ্গো, গ্যাবন ও আইভরি কোস্টে সাইকেল রপ্তানি করছে তারা।

১০০ থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার মূল্যের সাইকেল রপ্তানি করে প্রতিষ্ঠানটি। গাজীপুরে অবস্থিত মেঘনা গ্রুপের বাইসাইকেল কারখানার বিভিন্ন বিভাগে দশ হাজারের মতো কর্মী কাজ করে।

সাইকেলের রপ্তানি ও স্থানীয় বাজারকে সামনে রেখে ১০০ কোটি টাকার বড় বিনিয়োগ করেছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হবিগঞ্জ ইন্ড্রাস্টিয়াল পার্কে অবস্থিত এই কারখানাটিতে ২০১৫ সালে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বছরে প্রায় ৯ লাখ উৎপাদন ক্ষমতার এই কারখানায় উৎপাদিত বাইসাইকেল রপ্তানি করা হয়। সেইসঙ্গে দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ ২০২৩ সালে ৬ লাখটি সাইকেল রপ্তানি করেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান কামাল।

তিনি বলেন, “আমরা ইউরোপের বাজার নানান দিক দিয়ে সার্ভে করে দেখেছি সেখানে বাইসাইকেলের বিরাট বাজার আছে। সেই সুযোগটিই আমরা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের বড় ধাক্কা দিয়েছিল।”

“এখন আবার সুযোগ এসেছে। সেই সুযোগটিই আমরা কাজে লাগাতে চাই।”

ইউরোপের বাজার

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান বিষয়ক অফিস ইউরোস্ট্যাট-এর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালে যেখানে ইউরোপের বাজারে বাইসাইকেল রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল নবম, সেখানে ২০১০ সালে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থানে উঠে আসে। এখন তৃতীয় স্থানে।

২০০৮ ও ২০০৯ সালে বাংলাদেশ যথাক্রমে তিন লাখ ৭১ হাজার ও চার লাখ ১৯ হাজারটি বাইসাইকেল রপ্তানি করে। ২০০৭ সালে যে সংখ্যাটি ছিল ৩ লাখ ৫৫ হাজার।

২০১০ সালে রপ্তানি বেড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২০১১ ও ২০১২ দুই বছরেই সাড়ে পাঁচ লাখের মতো সাইকেল রপ্তানি হয় ইউরোপের দেশগুলোতে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে রপ্তানি ছাড়িয়ে যায় ছয় লাখ।

২০২১-২২ অর্থবছরে দুই প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ১৬ লাখ পিচ বাইসাইকেল রপ্তানি করে। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ দুই অর্থবছরেই রপ্তানি কমেছে। তবে কতো পিচ রপ্তানি হয়েছে সে তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইউরোপের বাজারে রপ্তানির শীর্ষে আছে তাইওয়ান। পরের অবস্থানে আছে থাইল্যান্ড।

বাহন হিসেবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাইসাইকেল এমনিতেই পছন্দ করেন অনেকে। একদিকে স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এবং অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব - এ দুটো কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাইকেলের চাহিদা বাড়ছে।

ইউরোপের দেশগুলো একসময় বাইসাইকেল বেশি আমদানির করতো চীন থেকে। কিন্তু চীন থেকে আমদানি করা বাইসাইকেলের উপর ব্যাপকহারে শুল্ক আরোপ করে ইউরোপের দেশগুলো ১৯৯৩ সাল থেকে।

এই শুল্ক হার প্রায় ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করা হয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, ফিলিপিন থেকে আমদানি করা সাইকেলের উপর।

এর ফলে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায় বাংলাদেশের জন্য।

এ প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন বিভাগের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, “ইউরোপের দেশগুলোতে বেশিরভাগ বাইসাইকেল আমদানি হতো চীন থেকে। চীনের সাথে তাদের বাণিজ্যিক বিরোধের কারণে আমাদের জন্যে এই সুযোগ বেশি তৈরি হয়েছে।”

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রতিবছর প্রায় দুই কোটির মতো সাইকেল বিক্রি হয়। ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো পঞ্চাশ লাখ বাইসাইকেল আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে। এর মধ্যে ইউরোপ বাংলাদেশ থেকে ৮ শতাংশ সাইকেল আমদানি করেছে বলে ইউরোস্ট্যাট তথ্য দিয়েছে।

রপ্তানি আরো আশা

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বাইসাইকেলের ডিজাইন পাঠানো হয় বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোকে। তারপর সে ডিজাইন অনুযায়ী সাইকেল বানিয়ে ইউরোপে রপ্তানি করা হয়

ইউরোপে বর্তমানে যত সাইকেল বিক্রি হয় সেটির সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ইউরোপিয়ান সাইক্লিস্ট ফেডারেশন বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ইউরোপে প্রতিবছর তিন কোটি সাইকেল বিক্রি হবে।

অর্থাৎ এখন যা বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে আরো এক কোটি বেশি বিক্রি হবে।

বাংলাদেশের জন্য এটি আরো বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিবছর এ চাহিদা ক্রমাগত বাড়বে। আমরা যদি সেই বাজার ধরতে পারি তাহলে আমাদের রপ্তানিও বাড়বে।”

অক্টোবরের প্রবৃদ্ধিতে ইউরোপের বাজারে ঘুরে দাঁড়াল পোশাক রপ্তানি পরবর্তী

অক্টোবরের প্রবৃদ্ধিতে ইউরোপের বাজারে ঘুরে দাঁড়াল পোশাক রপ্তানি

কমেন্ট