বৈরিতার মধ্যেও ভারতে রপ্তানি দেড় বিলিয়ন ছাড়াল

বৈরিতার মধ্যেও ভারতে রপ্তানি দেড় বিলিয়ন ছাড়াল

বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি হয়ে থাকে। ফাইল ছবি

চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকেই ভারতের সঙ্গে কূটনতিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে বাংলাদেশের। তবে রাজনৈতিক এই সঙ্কটের প্রভাব এখনও দেখা যাচ্ছে না অর্থনীতিতে। বৈরী সম্পর্কের মধ্যেও ভারতে পণ্য রপ্তানি বেড়েই চলছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের দেশভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ভারতে ১৫২ কোটি (১.৫২ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

এই অঙ্ক গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারতের বাজারে ১৩১ কোটি ৬৮ লাখ (১.৩১ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

এই প্রবৃদ্ধি অপ্রচলিত বা নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি; একক বাজার হিসাবে সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমান। অন্য বড় বাজার জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও কানাডার চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে এই খাত থেকে।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের দশ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়ে ভারতের বাজারে পোশাক রপ্তানি থেকে ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স- এ সব বড় বাজারের চেয়েও ভারতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এই দশ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬২৩ কোটি (৬.২৩ বিলিয়ন) ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও কানাডার বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১০ দশমিক শূন্য দুই, ৩ দশমিক ৪১, ১ দশমিক ৮৬ এবং ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জুলাই-এপ্রিল সময়ে জাপানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। চীনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

বিপরীতে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। রাশিয়ায় কমেছে সবচেয়ে বেশি ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ।

ইপিবির এই তথ্যই বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে। ভারত থেকে পণ্য আসা যেমন কমেনি; তেমনি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তো কমেইনি, বরং বাড়ছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার কোটি (১০ বিলিয়ন) ডলারের বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ যত পণ্য আমদানি করে, তার অনেক কমই রপ্তানি করে থাকে।

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ভারতে রপ্তানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় বাংলাদেশের সেটাই প্রথম।

তার আগের অর্থ বছরে (২০২১-২২) ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছিল ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলার, যা ছিল ২০২০-২১ অর্থ বছরের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।

তবে গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সেই রপ্তানিতে ভাটা পড়ে; আয় নেমে আসে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলারে।

গত বছরের জুলাই মাসে অর্থ বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। তা আগস্টের শুরুতেই জনবিস্ফোরণে রূপ নিলে পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। তিনি আশ্রয় নেন ভারতে।

এরপর থেকে ঢাকা-নয়া দিল্লি কূটনৈতিক টানাপড়েন চললেও নভেম্বরে এসে তা তীব্রতা পায় হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার নিয়ে।

তার জেরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধেরও হুমকি দেন।

এরই মধ্যে গত ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক হয়। তবে ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হওয়ার তেমন আভাস পাওয়া যায়নি।

এসবের মধ্যেই গত ৯ এপ্রিল ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে ভারত সরকার।

এরই মধ্যে কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কয়েকটি স্থানে গত ৬ মে প্রথম প্রহরে সামরিক অভিযান চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তানও হামলা চালায় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে, যাতে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে।

চার দিন পর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। তবে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এই উত্তেজনার প্রভাব বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

রপ্তানির হাল

গত বছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে ১৫১ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার (১.৫২ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা এই দশ মাসের মোট রপ্তানি আয়ের ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

২০১১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয়। তবে সেই সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।

ওই বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়ে টাকা দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সে জন্য বেশ কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতেও ভাটা পড়েছিল।

এরপর ভারতে রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রথমবারের মতো দেশটিতে পণ্য রপ্তানি আয় ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পাঁচ বছরের মাথায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সেই আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।

২০২০-২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতের বাজারে ১২৮ কোটি (১.২৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১২৫ কোটি (১.২৫ বিলিয়ন) ডলার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে তা কমে ১০৯ কোটি ৬২ লাখ (১.০৯ বিলিয়ন) ডলারে নেমে আসে।

বাংলাদেশ ভারতে মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে। এছাড়া কাঁচা পাট ও পাটজাতপণ্য, সুতা, প্লাস্টিক পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ভারতে তৈরি পোশাক থেকে আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে ওভেন পোশাক থেকে আয় হয়েছে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর নিট পোশাক থেকে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৮ লাখ ডলার।

এছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ৯ কোটি ১৪ লাখ ডলার, কটন ও কটন প্রোডাক্টস থেকে ২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানি থেকে ৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় হয়েছে।

ভবিষ্যৎ কী

কোভিড মহামারীর সময় সারাবিশ্বে যোগাযোগ থমকে গেলে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বাড়তে শুরু করে। কারণ অন্য দেশে বাধা থাকায় দুই দেশই নিজেদের উৎস থেকে লেনদেন বাড়াচ্ছিল। আবার দু্ই দেশের পরিবহন যোগাযোগ বাড়াও এতে প্রভাব ফেলে।

কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে, তার উন্নতি না হলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।

এআরএইচ ডট নিউজকে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের নয় মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিবাচক কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি বাড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।”

ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন সেলিম রায়হান। সেজন্য রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সেলিম রায়হান বলেন, “ভারতের বাজারে অনেক সময় অযৌক্তিকভাবে অশুল্ক বাধা আরোপ করা হয়। এই বাধা দূর করার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং রপ্তানিকারকদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা বাড়াতে হবে।”

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ মনে করেন, সম্পর্ক ভালো থাকলে ভারতে রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব।

এআরএইচ ডট নিউজকে তিনি বলেন, “ভারতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর বাড়ছে। দেড়শ’ কোটি লোকের চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতেই হবে। ভারতে পোশাক তৈরি করতে যে খরচ হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে তার চেয়ে অনেক কম পড়ে। সে কারণে সব হিসাব-নিকাশ করেই তারা এখন বাংলাদেশ থেকে বেশি করে পোশাক কিনবে।”

ভারতের বাজারে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে তা যেন নষ্ট হয়ে না যায়, তা চাইছেন পোশাক ব্যবসায়ীরা।

নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “আমাদের তৈরি পোশাকের খুবই সম্ভাবনা এবং ভালো বাজার হয়ে উঠছিল ভারত। সার্বিক রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাঝে হোঁচট খেয়েছিল। এখন আবার বাড়ছে।

“এটা ধরে রাখতে হবে। সেজন্য কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে যে সম্পর্ক দেখা দিয়েছে, তার সম্মানজনক সমাধান করতে হবে। মনে রাখতে হবে, পাশের দেশ হওয়ায় ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে আমাদের পরিবহন খরচ অনেক কম হয়। স্থলবন্দর দিয়েই সব পণ্য রপ্তানি হয়। সে কারণে ভারতে আমাদের রপ্তানি যত বাড়বে, ততই ভালো।”

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য হুমকি বলে মনে করেন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। প্রতিবেশী দেশের সংঘাত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কাঁচামাল আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব এখনও বিশ্ব বয়ে বেড়াচ্ছে। কবে নাগাদ যুদ্ধ শেষ হবে, তা কেউ জানে না।

“এর মধ্যে আবার শুরু হলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। ভারত থেকে সুতা, তুলাসহ ভোগ্যপণ্যের আমদানি হয়। এসব খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, “যুদ্ধ-বিগ্রহে যে দেশে হয় সেই দেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এর ফলে আশেপাশের দেশও কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত আমরাও হব। সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করলে সীমান্ত বাণিজ্য অনেকটা বাধাগ্রস্ত হবে। অনেক ভোগ্যপণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এতে করে পণ্যমূল্য বেড়ে যেতে পারে।

“এই অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য আগে থেকেই বিকল্প বাজারের সন্ধান করতে হবে। তবে আশার কথা হচ্ছে- দুই দেশ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আশা করি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না।”

রপ্তানি আয়ে হোঁচট, এক বছরে সবচেয়ে কম এপ্রিলে পরবর্তী

রপ্তানি আয়ে হোঁচট, এক বছরে সবচেয়ে কম এপ্রিলে

কমেন্ট