কাঁচা মরিচ: ৩৭ হাজার টন আমদানির অনুমতি, এসেছে ৯৩ টন

কাঁচা মরিচ: ৩৭ হাজার টন আমদানির অনুমতি, এসেছে ৯৩ টন

ফাইল ছবি

পাগলা ঘোড়ার মত ছুঁটতে থাকা কাঁচা মরিচের দামের লাগাম টেনে ধরতে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার টন আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার; এরমধ্যে দেশে এসেছে ৯৩ টন। 

রান্নার আবশ্যকীয় এই পণ্যটি নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে অরাজক ও বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা দিয়েছে। ঈদের আগে থেকেই চড়তে থাকে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ; ঈদের দুদিন আগে রাজধানীর বাজারগুলোত ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই পণ্য। ঈদের আগের দিন তা এক লাফে ৫০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়; ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়তে থাকে দাম। 

মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁজ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ঝড়ের গতিতে দাম বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও ১ হাজার টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রির খবরও পাওয়া গেছে। 

বাংলাদেশে কাঁচা মরিচ নিয়ে এমন অস্থিরতা-হাহুতাস এর আগে কখনই দেখা যায়নি। 

তবে ঈদের পর কাঁচা মরিচের দাম কমার খবর পাওয়া যাচ্ছে। একেক বাজারে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। রোববার ঢাকার শেওড়াপাড়া বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আড়াই’শ গ্রাম (২৫০ গ্রাম) কিনলে নেওয়া হচ্ছে দেড়’শ টাকা। ঢাকার বাইরেও দাম এমনই ছিল। 

এদিকে দামের উর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে ২৫ জুন আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর এক সপ্তাহেই ৯৩ টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে। 

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশে এসেছে মোট ৯৩ টন। 

ঈদের ছুটি শেষে শুধু রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্তই ৫৫ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এরমধ্যে ভারত থেকে কাঁচা মরিচভরতি ছয়টি ট্রাক ঢুকেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে। 

বর্ষাকালে ক্ষেত নষ্ট হয় বলে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে প্রতিবারই। তবে এবার রান্নার আবশ্যকীয় এই পণ্যের দাম বৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। 

ঈদের কিছু দিন আগে দাম ৪০০ টাকায় উঠে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। ওই দিন থেকেই আমদানির অনুমতি বা আইপি দেওয়া শুরু হয়। 

আমদানির এই অনুমতি আগামী তিন মাসের জন্য বহাল থাকবে। 

 বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “আমাদের দেশে এ সময়ে মরিচের উৎপাদন কমে আসে। তাতে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে যায়। তবে এবার সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।” 

২৫ জুন আমদানির অনুমতি দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা জানায়,  বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ টাকার ওপরে উঠেছে বলে দেখা গেছে, যা অন্য সময়ের দামের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

সরকারের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে, দ্রুত বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কমে আসবে। 

আমদানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারতের সীমান্ত এলাকার বাজারগুলোয় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তাতে ভারতীয় কাঁচা মরিচ দেশে এলে সব খরচ বাদ দিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। 

রাজধানীর বাদামতলীভিত্তিক আমদানিকারক মো. কামারুজ্জামান বলেন, “ভারত থেকে প্রচুর কাঁচা মরিচ আসছে। এখন দাম কমে আসবে।” 

এলসি মার্জিনের কড়াকড়ি শিথিল পরবর্তী

এলসি মার্জিনের কড়াকড়ি শিথিল

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর