আমদানি বিল ১০৯ টাকার মধ্যে রাখার নির্দেশ
আমদানি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে ১০৯ টাকার বেশি না নেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকের নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলোকে চিঠির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এবিবির চেয়ারম্যান ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেনের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের কোনো কোনো ব্যাংক আমদানি বিল নগদায়নের ক্ষেত্রে ১০৯ টাকার বেশি নিচ্ছে। বিশেষ করে এডি (অথোরাইজড ডিলার) ব্যাংকে আমদানি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে ১০৯ টাকার বেশি নেয়া হচ্ছে। আমদানি বিল সর্বোচ্চ ১০৯ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়, রেমিটেন্স ও রপ্তানি বিলের গড় দরের সাথে অতিরিক্ত বা স্প্রেড ১ টাকা যোগ করে আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে প্রতি ডলারে রেমিটেন্সে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি বিল নগদায়নে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারিত আছে। এর সঙ্গে আরও ১ টাকা স্প্রেড করলে ১০৯ টাকা আমদানি বিলের দর পাওয়া যায়।
কিন্তু কিছু কিছু ব্যাংক এই দরের চেয়েও বেশি দিচ্ছে-এমন অভিযোগের পরিপেক্ষিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে এবিবি।
এই নির্দেশনা সোমবার থেকেই সকল ব্যাংককে মেনে চলতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, “এই নির্দেশনা নিয়ন্ত্রণক সংস্থা থেকে পর্যালোচনা করা হবে।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন-বাফেদা।
এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এই দুই সংগঠন।
কমেন্ট