মজুত বাড়াতে চাল ও গম আমদানি করছে সরকার

মজুত বাড়াতে চাল ও গম আমদানি করছে সরকার

দেশে খাদ্যের মজুত বাড়াতে ১১ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করবে সরকার। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টন চাল ও ছয় লাখ টন গম।

দেশে খাদ্যের মজুত বাড়াতে ১১ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টন চাল ও ছয় লাখ টন গম।

সরকার থেকে সরকার (জি–টু–জি) পর্যায়ে তিন লাখ টন চাল, আর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দুই লাখ টন চাল কেনা হবে। 

গমের ক্ষেত্রে জি–টু–জি ভিত্তিতে সাড়ে চার লাখ টন ও আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে দেড় লাখ টন সংগ্রহ করা হবে। 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

সরকারি গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত থাকার পরও আপতকালীন সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে খাদ্যশস্য আমদানি করছে সরকার। 

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যান্ত সরকারি গুদামগুলোতে প্রায় ১৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪০৮ টন চাল, ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮৬ টন গম এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৩ টন ধান। 

বর্তমান পেক্ষাপটে দেশে সরকারি গুদামে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন খাদ্য মজুত থাকলেই যথেস্ট বলে মনে করেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।  

চাল ও গম আমদানির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহীদের দরপত্র দাখিল করতে হবে। আগে বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর ৪২ দিন পর্যন্ত দরপত্র দাখিল করা যেত। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

সাঈদ মাহবুব খান জানান, অর্থনৈতিক বিষয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দ করা গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কেনার প্রস্তাবও নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। 

এই বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়ার পিরিন্টিস আকাল এসডিএন বিএইচডির কাছ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। 

১৬ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি 

এদিকে সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টন জ্বালানি তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। 

চলতি ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সিঙ্গাপুরের ইউনিপ্যাক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড ও ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এ তেল কেনা হবে। 

এতে ১২ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। 

ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ ছাড়াও চারটি জাহাজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। জাহাজগুলো কিনবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। 

এর মধ্যে দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাংকার ও দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ। চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ জাহাজ কেনা হবে। 

রুপিতে লেনদেন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ-ভারত পরবর্তী

রুপিতে লেনদেন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ-ভারত

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর