মাংস আমদানির অনুমতি চায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

মাংস আমদানির অনুমতি চায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

শনিবার রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

মাংস আমদানির অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। মাংসের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশের রেস্তোরাঁগুলোতে বিক্রি কমে যাওয়ায় গরু, ছাগল ও পোলট্রি মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি চেয়েছে দেশের রেস্তোরাঁ মালিকদের এই সমিতি। 

শনিবার রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাছ, মাংস, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। চড়া দ্রব্যমূল্য উসকে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতিকে। মূল্যস্ফীতির কষাঘাতে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে ৮ শতাংশের বেশি হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। গত জুন মাসেও মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। 

“এতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রেস্তোরাঁ খাতে।” 

ইমরান হাসান বলেন, “বেশিরভাগ রেস্তোরাঁর দৈনিক বিক্রি অনেক কমে গেছে। যা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ খাতের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো। এ অবস্থায় কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাই গরু ছাগল ও পোলট্রি মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি দিতে হবে।” 

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে বিদ্যমান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ছাড় দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে রেস্তোরাঁ খাতে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করতে হবে। 

“এই সংকটকালীন সময়ে রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে, ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ট্যাক্সের হার কমানোর  প্রস্তাব করছি আমরা। একই সঙ্গে ট্যাক্স আদায়ের নামে মাঠ পর্যায়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।”  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, যুগ্ম সচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ। 

লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি কমেছে, স্বস্তি ফিরছে পরবর্তী

লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি কমেছে, স্বস্তি ফিরছে

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর