আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

প্রতিষ্ঠান ছয়টি হচ্ছে-চিস গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম কর্পোরেশন, বিডিএস কর্পোরেশন এবং মেসার্স জুনুর ট্রেডার্স।

দামের লাগাম টানতে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

এআরএইচ ডটকমকে তিনি বলেন, “নতুন করে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে (প্রত্যেককে এক কোটি) ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

প্রতিষ্ঠান ছয়টি হচ্ছে-চিস গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম কর্পোরেশন, বিডিএস কর্পোরেশন এবং মেসার্স জুনুর ট্রেডার্স।

এর আগে গত সোমবার চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তখন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছিলেন, বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায়, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরও আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

সচিব বলেছিলেন, “গত মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এই দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে।”

“সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

কোথা থেকে আমদানি করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একটি কোম্পানি বলেছে- ভারত থেকে ডিম আনবে। বাকি তিনটির বিষয়ে আমার খেয়াল নেই। তবে যে কোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে। যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।”

আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ, ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।’

যেসব দেশে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা অন্য সমস্যা আছে, সেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন এই সিনিয়র সচিব। 

সচিব বলেন, “অবশ্যই আমরা দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেখব। দেশের মানুষের আর্থিক উন্নয়নে এই শিল্প দেশে গড়ে উঠুক, তা সবাই চায়। সরকারেরও মূল লক্ষ্য এটা। কিন্তু যখন এই সুযোগে বাজার থেকে কেউ বেশি মূল্য নিতে চায়, ভোক্তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়, তখন আমদানির কথা ভাবতে হবে।”

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি হালি ফার্মের ডিম ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তবে কারওয়ান বাজার ও শেওড়াপাড়া বাজারে প্রতি পিচ ডিম সাড়ে ১২ টাকা, হালি ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কিছুদিন আগে প্রতি ডজন ডিম ১৭০ টাকায় উঠেছিল। প্রতি হালির দাম উঠেছিল ৬০ টাকায়; একটা ডিমের দাম পড়ত ১৫ টাকা।

যে চার শর্তে অনুমতি

গত সোমবার প্রথমবারের মত যখন ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়, তখন চারটি শর্ত দেওয়া হয়। এর প্রথমটি হলো-এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমির প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না এবং সরকারের অন্যান্য বিধি–বিধান প্রতিপালন করতে হবে–এমন দুটো শর্তের কথা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, দেশে প্রতি দিন চার কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।

আমদানিতে নতুন নির্দেশনা, দিতে হবে বাড়তি তথ্য পরবর্তী

আমদানিতে নতুন নির্দেশনা, দিতে হবে বাড়তি তথ্য

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর