ভারত থেকে আলু আসছে, প্রথম দিনে এলো ৭৭ টন
ভারত থেকে আরও আলু আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ফাইল ছবি
দামে লাগাম টানতে সোমবার আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর তিন দিনের মাথায় দেশে আমদানির আলু আসতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে পাশের দেশ ভারত থেকে ৭৭ টন আলু এসেছে দেশে এসেছে।
ভারত থেকে আরও আলু আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সরকার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক লাখ সাত হাজার ২১৫ মেট্টিক টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৭ টন আমদানি হয়েছে।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগ্রহী আমদানিকারকদের আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে বলে।
আলু আমদানির অনুমতি দিয়ে সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে আলু সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একইদিন, মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকদেরকে ১ নভেম্বর থেকে হিমাগার পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ২৬–২৭ টাকা প্রতি কেজি মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়।
এক চিঠিতে মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক আলু ব্যবসায়ী হিমাগার ও খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন; এ পরিস্থিতিতে জেলা কমিশনাররা জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক বা একাধিক হিমাগার তদারকির দায়িত্ব দেবেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর বিক্রয়মূল্য ২৬–২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩৫–৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তবে দেশের কোথাও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি হয়নি।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে মানভেদে প্রতি কেজি আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তবে কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া ও হাতিরপুল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক কেজি আলু ভালো মানের আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
টিসিবির বাজার দর বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলুর বর্তমান এই দর বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত এক দশকে আলুর সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৩৫ টাকা প্রতি কেজি।
গত সেপ্টেম্বরে উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তা কার্যকর নেই। সরকারি তদারকি প্রতিষ্ঠান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিদিন অভিযান ও জরিমানা করেও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
সূত্র জানিয়েছে, নতুন করে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আলু আমদানির আবেদন করছে। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে। যে সব প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে, তাদের প্রায় সবাই ভারত থেকে আলু আমদানি করতে চেয়েছে।
তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চীন থেকেও আলু আমদানির অনুমতি চেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এখন প্রতিদিনই আলুর আমদানি হবে। বড় পরিমাণ আলুর আমদানি হলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে।
এর আগে সরকার ভারত থেকে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের কোনোটাই দেশে ডিম আমদানি করেনি। বাজারে ডিমের দামও কমেনি।
কমেন্ট