ব্যালান্স অব পেমেন্টে ঘাটতি কমছে, স্বস্তির আভাস
অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্ট। যে কোনো দেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির চিত্র অনেকটাই ফুটে ওঠে এই সূচকের মাধ্যমে।
ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল; তার সুফলও মিলেছিল। আমদানি ব্যয় কমে এসেছিল। তাতে বাণিজ্য ঘাটতি বেশ খানিকটা কমে শেষ হয়েছিল ২০২৩-২৪ অর্থ বছর।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও নয় মাস ধরে সেই একই পথ অনুসরণ করে চলেছে। এরই মধ্যে রপ্তানি আয়ে বেশ ভালো গতি এসেছে। এতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেও বাণিজ্য ঘাটতিতে নিম্মমুখী প্রবণতাই দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়ে উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স বাড়ায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থায় অবস্থান করছে।
সব মিলিয়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট-বিওপি) ঘাটতিও কমে এসেছে; অর্থনীতিতে এক ধরনের স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার ব্যালান্স অব পেমেন্টের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৪৩ কোটি ১০ লাখ (১৫.৪৩ বিলিয়ন) ডলার, যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ কম।
গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এই নয় মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৭৫ কোটি ৫০ লাখ (১৫.৭৫ বিলিয়ন) ডলার।
জুলাই-মার্চ সময়ে ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ২০ লাখ (৪৯.৩০ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
গত অর্থ বছরের এই নয় মাসে ৪৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল।
অন্যদিকে চলতি অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৩ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা, যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
গত অর্থ বছরের এই নয় মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩০ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল।
এ হিসাবেই ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ কমে ১৫ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি নিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর শেষ হয়েছিল। তার আগের অর্থ বছরে (২০২২-২৩) এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার।
লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি কমছে
অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্ট। যে কোনো দেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির চিত্র অনেকটাই ফুটে ওঠে এই সূচকের মাধ্যমে। ব্যালান্স অব পেমেন্টে ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের বড় ঘাটতি নিয়ে শেষ হয়েছিল গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এই সূচকে ১৫ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর শেষে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যালান্স অব পেমেন্টে ৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের ঘাটতি দেখা দেয়।
ফেব্রুয়ারি শেষে অর্থাৎ চলতি অর্থ বছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এই ঘাটতি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন (১৩০ কোটি) ডলারে ওঠে।
তবে মার্চ শেষে অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে সেই ঘাটতি বেশ খানিকটা কমে ৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এই সূচকে ৪৩৯ কোটি ৮০ লাখ (৪.৪০ বিলিয়ন) ডলারের ঘাটতি ছিল।
আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত বাড়ছে
২০২৩-২৪ অর্থ বছর শেষে আর্থিক হিসাবে (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। তবে ঘাটতি নিয়ে শুরু হয় ২০২৪-২৫ অর্থ বছর। অর্থ বছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
তবে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এই সূচকে ৭৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। জুলাই-মার্চ সময়ে সেই উদ্বৃত্ত বেড়ে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ১৩০ কোটি ৭০ লাখ (১.৩১ বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ সময়ে এই সূচকে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৯০ কোটি ১০ লাখ ডলার।
সামগ্রিক লেনদেনে ঘাটতি ১.০৭ বিলিয়ন ডলার
সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালান্স) ঘাটতি কমেছে। জুলাই-মার্চ সময়ে এই সূচকে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলার।
গত অর্থ বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
রেমিটেন্স বেড়েছে ২৭ শতাংশ
দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে এ মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) চেয়ে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।
সেই ইতিবাচক ধারা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেও অব্যাহত রয়েছে। নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।
ইতোমধ্যে এপ্রিল মাসের রেমিটেন্সের তথ্যও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের দশম মাস এপ্রিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ (২.৭৫ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
একক মাসের হিসাবে এই রেমিটেন্স দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৩৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
সব মিলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে (২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল) ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৬৩ লাখ (২৪.৫৪ বিলিয়ন) রেমিটেন্স এসেছে দেশে, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন) চেয়েও ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ২২ লাখ (২৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
আকুর বিল শোধের পরও রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে
বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। বেশ কিছুদিন ধরেই এই সূচক নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চলছে। তবে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে এই সূচকে।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পরও বিপিএম-৬ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে রয়েছে। গত মার্চ–এপ্রিল সময়ের জন্য আকুতে ১ দশমিক ৮৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এরপরও ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দিনের শুরুতে যেখানে রিজার্ভ ছিল ২২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার, আকুর বিল শোধের পর দিন শেষে তা কমে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে।
আকু হলো এশিয়ার কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যকার একটি আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তার মূল্য প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি করা হয়।
অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়।
আকুর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ।
আকুর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত পরিশোধ করা অর্থের তুলনায় অন্য দেশগুলো থেকে বেশি পরিমাণে ডলার আয় করে। অন্যদিকে বেশিরভাগ দেশকেই আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় হিসেবে অতিরিক্ত ডলার খরচ করতে হয়।
ব্যাংকগুলো আমদানির খরচ নিয়মিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়, যা রিজার্ভে যোগ হয়। তবে ওই দায় দুই মাস পরপর রিজার্ভ থেকে পরিশোধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম-৬ হিসাবের রিজার্ভকে তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হিসেবে দাবি করে।
সবশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসের আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, ওই মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের ৫ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।
সে হিসাবে বর্তমানের ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুদ থাকতে হয়।
এর আগে গত মার্চে জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারির জন্য আকুর আমদানির বিল বাবদদ ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং নভেম্বর–ডিসেম্বর সময়ের জন্য ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।
সেই দুই বারই আকুর বিল শোধের পর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল; এবার উপরেই অবস্থান করছে।
অর্থনীতির এই প্রধান সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে রেমিটেন্স। রপ্তানি আয়ও ভালো। আমদানি সহনীয় রাখা গেছে। বেশ কিছু দিন ধরে ডলারের বাজার স্থিতিশীল আছে। ব্যালান্স অব পেমেন্টে ঘাটতিও কমে এসেছে। রিজার্ভেল পতনও ঠেকানো গেছে”
“সব মিলিয়ে এভাবে বলা যায়, অর্থনীতিতে স্বস্তি ফেরার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে।”
‘তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনও নাজুক’ মন্তব্য করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে এখন বিনিয়োগ। দেশি বিনিয়োগ বিনিয়োগ হচ্ছে না; বিদেশি বিনিয়োগও তেমন আসছে না।
“এই দিকেই এখন সরকারকে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। দেশে বিনিয়োগ অনুকুল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর সেজন্য দ্রুত আইন শৃংখলা পরিস্থির উন্নতি করতে হবে,” বলেন জাহিদ হোসেন।
এফডিআই কমেছে ২৬ শতাংশ
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ৮৬ কোটি ১০ লাখ ডলারের নিট এফডিআই (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) এসেছে দেশে। গত অর্থ বছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি, ১১৬ কোটি ৪০ লাখ (১.১৬ বিলিয়ন) ডলার।
এ হিসাবে এই নয় মাসে এফডিআই কমেছে ২৬ শতাংশ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে মোট যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে, সেটাকেই নিট এফডিআই বলা হয়ে থাকে।
কমেন্ট