রেমিটেন্সের অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে না

রেমিটেন্সের অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে না

স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক এই অভিযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ সুবিধাভোগীর কাছে সময়মতো পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে সময়মতো বিতরণ করছে না ব্যাংকগুলো।

প্রবাসীরা দেশে যার নামে টাকা পাঠাবেন,সর্বোচ্চ দুই কার্যদিবসের মধ্যে সেই টাকা তার কাছে বিতরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেটা মানছে না।

স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক এই অভিযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ সুবিধাভোগীর কাছে সময়মতো পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রবাসী রেমিটেন্সের অর্থ বেনিফিসিয়ারীর (সুবিধাভোগী, যার নামে টাকা আসে) নিকট বিতরণের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই জারি করা ‘প্রবাসী রেমিটেন্সের অর্থ বেনিফিসিয়ারীর নিকট বিতরণ” শীর্ষক সার্কুলারটি সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে না।

“ওই সার্কুলারের নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত সময়সীমা দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রবাসী রেমিটেন্সের অর্থ যথাযথভাবে বেনিফিসিয়ারীর নিকট বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আপনাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।”

২০১৪ সালের সার্কুলারে বলা আছে, রেমিটেন্স প্রবাহে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ড্রয়িং ব্যবস্থার আওতায় প্রাপ্ত প্রবাসী রেমিটেন্সের অর্থ বেনিফিসিয়ারী পর্যায়ে বিতরণের সময়সীমা ৭২ ঘন্টার পরিবর্তে সর্বোচ্চ দুই কার্যদিবস পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ধস নামায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ (১.৩৬ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন।

একক মাসের হিসাবে যা ছিল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিন মাসের হিসাবে অর্থাৎ চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৪৯১ কোটি ৬৩ লাখ (৪.৯১ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

গত বছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৫৬৭ কোটি ২৮ লাখ (৫.৬৭ বিলিয়ন) ডলার।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

অবৈধ হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স কম আসছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

রেমিটেন্স প্রবাহে গতি ফিরছে, ১৩ দিনে   এলো ৭৮ কোটি ডলারের বেশি পরবর্তী

রেমিটেন্স প্রবাহে গতি ফিরছে, ১৩ দিনে এলো ৭৮ কোটি ডলারের বেশি

কমেন্ট