রেমিটেন্স: সৌদি থেকে ধস, আমিরাত থেকে উল্লম্ফন

রেমিটেন্স: সৌদি থেকে ধস, আমিরাত থেকে উল্লম্ফন

পৃথিবীর উচ্চতম বহুতল। যেন বিস্ময়ের প্রতীক হয়ে মাথা তুলে আছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম আকর্ষণ গগনচুম্বী এই বহুতলকে নিয়ে পর্যটকদের উৎসাহের শেষ নেই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। আর এই সূচকের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়।

টানা দুই মাস কমে এই সূচক ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। অক্টোবরের পর নভেম্বর মাসেও প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অক্টোবরে পাঠিয়েছিলেন ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার; নভেম্বরে এসেছে ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।

সব মিলিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৮৮১ কোটি ৪৫ লাখ (৮.৮১ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশই এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। বরাবর শীর্ষে থাকা সৌদি আরব থেকে এসেছে ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।

এই পাঁচ মাসের চার মাসই সৌদি আরবের চেয়ে আরব আমিরাত থেকে বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

নভেম্বর মাসে প্রায় সব দেশ থেকেই রেমিটেন্সে কমেছে: বেড়েছে আমিরাত থেকে। শুধু নভেম্বর নয়; বেশ কিছুদিন ধরেই রেমিটেন্স প্রবাহে চমক দেখিয়ে চলেছে আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত সাতটি স্বাধীন রাজ্যের ফেডারেশন-সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার দেশভিত্তিক রেমিটেন্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরে আরব আমিরাত থেকে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। আগের মাস অক্টোবরে এসেছিল ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।

সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৫ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জুলাই ও আগস্টে এসেছিল যথাক্রমে ৩২ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ও ২৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

সব মিলিয়ে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস জুলাই-নভেম্বর সময়ে আরব আমিরাত থেকে ১৫৪ কোটি (১.৫৪ বিলিয়ন) রেমিটেন্স দেশে এসেছে। যা এই পাঁচ মাসের মোট রেমিটেন্সের সাড়ে ১৭ শতাংশ।

নভেম্বর মাসে সৌদি আরব থেকে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ রেমিটেন্স এসেছে। অক্টোবরে এসেছিল ২৫ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

নভেম্বরে যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ২৬ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

বরাবরই সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে সৌদি আরব থেকে। গত কয়েক কয়েক বছর ধরে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর তৃতীয় স্থানে ছিল আরব আমিরাত। যুক্তরাজ্য ছিল চতুর্থ অবস্থানে।

কিন্তু পাঁচ মাসের (জুলাই-নভেম্বর) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সব দেশকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে আরব আমিরাত। এই পাঁচ মাসে সৌদি আরব থেকে এসেছে ১২৬ কোটি ২৩ লাখ (১.২৬ বিলিয়ন) ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১০৯ কোটি ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ৮১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্সের উল্লম্ফনের আভাস গত অর্থবছরেই পাওয়া গিয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটি থেকে প্রথমবারের মতো রেমিটেন্স ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়; আসে ৩০৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার (৩.০৩ বিলিয়ন) ডলার। যা ছিল আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরে তিনটি দেশ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছিল। বাকি দুটি দেশ ছিল- সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র।

গত অর্থবছরের কয়েক মাসে সৌদি আরবের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাত থেকে বেশি রেমিটেন্স আসলেও বরাবরের মতোই অর্থবছর শেষে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে সৌদি আরব থেকে।

তবে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ কম ছিল; ৩৭৬ কোটি ৫২ লাখ (৩.৭৬ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ৪৫৪ কোটি ১৯ লাখ (৪.৫৪ বিলিয়ন) ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে; ৩৫২ কোটি ২০ লাখ (৩.৫২ বিলিয়ন) ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।

৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির উপর ভর করে তৃতীয় স্থানে ছিল আরব আমিরাত। যক্তরাজ্য থেকে এসেছিল ২০৮ কোটি (২.০৮ বিলিয়ন) ডলার।

গত অর্থবছরের কয়েক মাসেও শীর্ষে ছিল আমিরাত

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোনো কোনো মাসে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল আরব আমিরাত থেকে।

যেমন- গত মার্চ মাসে আরব আমিরাত থেকে ৩০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ওই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আর সৌদি আরব থেকে এসেছিল ২৮ কোটি ৩ লাখ ডলার।

শুধু মার্চ মাস নয়, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারি এবং গত বছরের মে মাসেও সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল আরব আমিরাত থেকে।

জানুয়ারিতে আমিরাত থেকে ৩৪ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ওই মাসে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৩০ কোটি ৮৭ লাখ ও ২৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে আরব আমিরাত থেকে ৩৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। ওই মাসে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৩২ কোটি ৯৯ লাখ ও ২৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, একক মাস হিসাবে আমিরাত থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স দেশে আসে গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে। এই মাসে দেশটি থেকে ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার আসে।

আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্সের এই ইতিবাচক ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকর ও অর্থনীতিবিদরা।

স্বাধীনতার পর থেকে শীর্ষে সৌদি আরব

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে বরাবরই সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪.৭৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। তার মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছিল ৫৭২ কোটি ১৪ লাখ (৫.৭২ বিলিয়ন) ডলার।

দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, এসেছিল ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছিল ২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছিল ২ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন ডলার।

কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রবাহ ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমে যায়; আসে ২১ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার; সব দেশ থেকেই কম আসে অর্থনীতির এই সূচক।

ওই অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে ৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার আসে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছিল ২ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে আসে ২ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৬ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য যত শ্রমিক বিদেশে গেছেন, তার প্রায় ২০ শতাংশই গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

২০১১ থেকে গত জুন পর্যন্ত দেশটিতে কাজের জন্য গেছেন ১০ লাখ শ্রমিক। ১৯৭৬ সাল থেকে জুন পর্যন্ত গেছেন প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক।

বিএমইটির হিসাবে, বাংলাদেশের শীর্ষ শ্রমবাজার সৌদি আরব। ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া শ্রমশক্তির ৩৬ শতাংশই গেছে দেশটিতে। সংখ্যার দিক থেকে যা ৫৫ লাখের বেশি।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের বড় অংশই রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে; কাজ করছেন বিভিন্ন শ্রমঘন পেশায়।

কেন বাড়ছে আমিরাত থেকে রেমিটেন্স

আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স বাড়ার কারণ জানতে চাইলে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “২০২২ সালে আমরা প্রায় ১১ লাখ লোককে কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছি। এই সংখ্যা অতীতের যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি। চলতি ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গেছেন প্রায় ১২ লাখ। এর মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি গেছেন আরব আমিরাতে। তারই ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশটি থেকে আসা রেমিটেন্স প্রবাহে।”

“গত বছর যারা গেছেন, তারা এখন পুরোদমে কাজ করছেন এবং বেতন-ভাতা পেয়ে দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন চড়া। তাই তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ আমিরাতের অর্থনীতিতেও চাঙাভাব বিরাজ করছে। সেখানকার শ্রমিক ভালো বেতন পাচ্ছেন। বেশি টাকা দেশে পাঠাতে পারছেন। সে কারণেই দেশটি থেকে বেশি রেমিটেন্স আসছে।”

অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স বেশি আসার কারণ হচ্ছে, গত কয়েক বছর অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক আমিরাতে বেশি লোক কাজের জন্য গেছেন। তারা এখন দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন।”

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাতটি রাজ্যের নাম হলো আবুধাবি, আজমান, দুবাই, ফুজাইরা, রাস আল খাইমা, আশ শারজাহ এবং উম্ম আল কোয়াইন। প্রতিটি রাজ্যের শাসনব্যবস্থা বংশগত রাজতন্ত্র এবং প্রতিটি রাজ্যের শাসনকর্তার পদবি হলো ‘আমির’।

ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, আবুধাবির আমির সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একইভাবে দুবাইয়ের আমির হলেন প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান।

আবুধাবি শহর এই ফেডারেশনের রাজধানী। আবুধাবি ফেডারেশনের বৃহত্তম রাজ্য, যা মোট ভূমির তিন-চতুর্থাংশের বেশি অংশ নিয়ে গঠিত।

দুবাই এই ফেডারেশনের বৃহত্তম ও জনবহুল শহর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র।

আরব আমিরাত মূলত পাথুরে মরুভূমি, উপকূলীয় সমভূমি এবং পাহাড়ের মিশ্র পরিবেশে গঠিত দেশ। তবে দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল মরুভূমি। তেলশিল্পের কারণে এখানকার অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী এবং জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

ফেডারেশনের অর্থনীতি প্রধানত আবুধাবির উৎপাদিত তেলের ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে দুবাইয়ের অর্থনীতি ব্যবসা ও পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি আরব আমিরাত তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে।

এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশটি পর্যটনশিল্প এবং পণ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে।

আরব আমিরাতে আছে অনেক দৃষ্টিনন্দন ও গগনচুম্বী ভবন। বর্তমান বিশ্বের সর্বোচ্চ অট্টালিকা ‘বুর্জ খলিফা’দুবাই শহরেই। প্রশস্ত রাস্তা ও সুপার হাইওয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি আছে আমিরাতের। পারস্য উপসাগরের কূলে ৫ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ।

পামগাছের মতো দেখতে এই দ্বীপপুঞ্জের নাম ‘পাম জুমেইরা’। এটা পৃথিবীর বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

এ সব কারণে চাঙা থাকা অর্থনীতির এই দেশটি থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে বলে জানান আহসান মনসুর।

ভোটের আগেই রিজার্ভে ১ বিলিয়ন যোগ হচ্ছে, স্বস্তি ফেরার আশা পূর্ববর্তী

ভোটের আগেই রিজার্ভে ১ বিলিয়ন যোগ হচ্ছে, স্বস্তি ফেরার আশা

নভেম্বরে রেমিটেন্স বেড়েছে ২১ শতাংশ পরবর্তী

নভেম্বরে রেমিটেন্স বেড়েছে ২১ শতাংশ

কমেন্ট