আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্সে বাজিমাত

আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্সে বাজিমাত

পৃথিবীর উচ্চতম বহুতল। যেন বিস্ময়ের প্রতীক হয়ে মাথা তুলে আছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম আকর্ষণ গগনচুম্বী এই বহুতলকে নিয়ে পর্যটকদের উৎসাহের শেষ নেই। ছবি: সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে।

গেলো বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আগের বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

আর এই রেমিটেন্সের চার ভাগের প্রায় এক ভাগই এসেছে আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত সাতটি স্বাধীন রাজ্যের ফেডারেশন-সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। বরাবর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসত সৌদি আরব থেকে। ডিসেম্বরে সেই সৌদির চেয়েও প্রায় তিন গুণ বেশি রেমিটেন্স এসেছে আমিরাত থেকে।

শুধু ডিসেম্বর নয়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেমিটেন্স প্রবাহে চমক দেখিয়ে চলেছে এই দেশটি।

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। আর এই সূচকের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার দেশভিত্তিক রেমিটেন্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসে আরব আমিরাত থেকে ৪৪ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। এর আগে এক মাসে এই দেশ থেকে এতো বেশি রেমিটেন্স কখনই আসেনি।

ডিসেম্বরে সৌদি আরব থেকে রেমিটেন্স এসেছে ১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ২৮ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২১ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

নভেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল । অক্টোবরে আসে ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।

সেপ্টেম্বর মাসে এই দেশটি থেকে ২৫ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিল। আগস্টে আসে ২৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ৩৩ কোটি ডলার।

সব মিলিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে আরব আমিরাত থেকে ১৯৭ কোটি ৮৩ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা এই ছয় মাসের মোট রেমিটেন্সের ১৮ দমিক ৩২ শতাংশ।

আর এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে রেমিটেন্স আহরণের শীর্ষে উঠে এসেছে আরব আমিরাত।

জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সৌদি আরব থেকে এসেছে ১৪২ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১১২ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। আর যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১৩৭ কোটি ডলার।

আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্সের উল্লম্ফনের আভাস গত অর্থবছরেই পাওয়া গিয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটি থেকে ৩০৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার (৩.০৩ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।

প্রথমবারের মতো আমিরাত থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে আসে ২০২২-২৩ অর্থবছরে। গত অর্থবছরে তিনটি দেশ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছিল। বাকি দুটি দেশ ছিল—সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র।

গত অর্থবছরের কয়েক মাসে সৌদি আরবের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাত থেকে বেশি রেমিটেন্স আসলেও বরাবরের মতই ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে সৌদি আরব থেকে।

তবে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ কম ছিল; ৩৭৬ কোটি ৫২ লাখ (৩.৭৬ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ৪৫৪ কোটি ১৯ লাখ (৪.৫৪ বিলিয়ন) ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে; ৩৫২ কোটি ২০ লাখ (৩.৫২ বিলিয়ন) ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।

৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির উপর ভর করে তৃতীয় স্থানে ছিল আরব আমিরাত। যক্তরাজ্য থেকে এসেছিল ২০৮ কোটি (২.০৮ বিলিয়ন) ডলার।

সব মিলিয়ে ছয় মাসের হিসাবে অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা এক হাজার ৮০ কোটি (১০.৮০ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।

গত বছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন এক হাজার ৪৯ কোটি (১০.৪৯ বিলিয়ন) ডলার।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩ শতাংশ।

গত অর্থবছরের কয়েক মাসেও শীর্ষে ছিল আমিরাত

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোনো কোনো মাসে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল আরব আমিরাত থেকে।

যেমন—গত বছরের মার্চ মাসে আরব আমিরাত থেকে ৩০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ওই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আর সৌদি আরব থেকে এসেছিল ২৮ কোটি ৩ লাখ ডলার।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারি এবং ২০২২ সালের মে মাসেও সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল আরব আমিরাত থেকে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমিরাত থেকে ৩৪ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ওই মাসে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৩০ কোটি ৮৭ লাখ ও ২৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।

২০২২ সালের মে মাসে আরব আমিরাত থেকে ৩৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। ওই মাসে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিল যথাক্রমে ৩২ কোটি ৯৯ লাখ ও ২৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর আগে একক মাসের হিসাবে আমিরাত থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স দেশে আসে গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে। ওই মাসে দেশটি থেকে ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এসেছিল। বিদায়ী ডিসেম্বরে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে আমিরাত থেকে ৪৪ কোটি ২৯ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্সের এই ইতিবাচক ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকর ও অর্থনীতিবিদরা।

স্বাধীনতার পর থেকে শীর্ষে ছিল সৌদি আরব

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে বরাবরই সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪.৭৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। তার মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছিল ৫৭২ কোটি ১৪ লাখ (৫.৭২ বিলিয়ন) ডলার।

দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, এসেছিল ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছিল ২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছিল ২ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন ডলার।

কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিটেন্স প্রবাহ ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমে যায়; আসে ২১ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার; সব দেশ থেকেই কম আসে অর্থনীতির এই সূচক।

ওই অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে ৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার আসে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছিল ২ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে আসে ২ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৬ সাল থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য যত শ্রমিক বিদেশে গেছেন, তার প্রায় ২০ শতাংশই গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

বিএমইটির হিসাবে, বাংলাদেশের শীর্ষ শ্রমবাজার সৌদি আরব। ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া শ্রমশক্তির ৩৬ শতাংশই গেছে দেশটিতে। সংখ্যার দিক থেকে যা ৫৫ লাখের বেশি।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের বড় অংশই রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে; কাজ করছেন বিভিন্ন শ্রমঘন পেশায়।

কেন বাড়ছে আমিরাত থেকে রেমিটেন্স

আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স বাড়ার কারণ জানতে চাইলে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “২০২২ সালে আমরা সাড়ে ১১ লাখ লোককে কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছিলাম। গত বছরে পাঠিয়েছি সাড়ে ১৩ লাখ। এই সংখ্যা অতীতের যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি। এর মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি গেছেন আরব আমিরাতে। তারই ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশটি থেকে আসা রেমিটেন্স প্রবাহে।”

“গত দুই বছরে যারা গেছেন, তারা এখন পুরোদমে কাজ করছেন এবং বেতন-ভাতা পেয়ে দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন বেশ চড়া। তাই তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ আমিরাতের অর্থনীতিতেও চাঙাভাব বিরাজ করছে। সেখানকার শ্রমিক ভালো বেতন পাচ্ছেন। বেশি টাকা দেশে পাঠাতে পারছেন। সে কারণেই দেশটি থেকে বেশি রেমিটেন্স আসছে।”

অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স বেশি আসার কারণ হচ্ছে, গত কয়েক বছর অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক আমিরাতে বেশি লোক কাজের জন্য গেছেন। তারা এখন দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন।”

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাতটি রাজ্যের নাম হলো আবুধাবি, আজমান, দুবাই, ফুজাইরা, রাস আল খাইমা, আশ শারজাহ এবং উম্ম আল কোয়াইন। প্রতিটি রাজ্যের শাসনব্যবস্থা বংশগত রাজতন্ত্র এবং প্রতিটি রাজ্যের শাসনকর্তার পদবি হলো ‘আমির’।

ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী আবুধাবির আমির সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একইভাবে দুবাইয়ের আমির হলেন প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান।

আবুধাবি শহর এই ফেডারেশনের রাজধানী। আবুধাবি ফেডারেশনের বৃহত্তম রাজ্য, যা মোট ভূমির তিন-চতুর্থাংশের বেশি অংশ নিয়ে গঠিত।

দুবাই এই ফেডারেশনের বৃহত্তম ও জনবহুল শহর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র।

আরব আমিরাত মূলত পাথুরে মরুভূমি, উপকূলীয় সমভূমি এবং পাহাড়ের মিশ্র পরিবেশে গঠিত দেশ। তবে দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল মরুভূমি। তেলশিল্পের কারণে এখানকার অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী এবং জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

ফেডারেশনের অর্থনীতি প্রধানত আবুধাবির উৎপাদিত তেলের ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে দুবাইয়ের অর্থনীতি ব্যবসা ও পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি আরব আমিরাত তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে।

এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশটি পর্যটনশিল্প এবং পণ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে।

আরব আমিরাতে আছে অনেক দৃষ্টিনন্দন ও গগনচুম্বী ভবন। বর্তমান বিশ্বের সর্বোচ্চ অট্টালিকা ‘বুর্জ খলিফা’ দুবাই শহরেই। প্রশস্ত রাস্তা ও সুপার হাইওয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি আছে আমিরাতের। পারস্য উপসাগরের কূলে ৫ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ।

পামগাছের মতো দেখতে এই দ্বীপপুঞ্জের নাম ‘পাম জুমেইরা’। এটা পৃথিবীর বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর চতুর্থ ব্যস্ততম বিমানবন্দর।

এ সব কারণে চাঙা থাকা অর্থনীতির এই দেশটি থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে বলে জানান আহসান মনসুর।

৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স ডিসেম্বরে পরবর্তী

৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স ডিসেম্বরে

কমেন্ট