১৫ দিনে রেমিটেন্স এলো বিলিয়ন ডলারের বেশি
রেমিটেন্সে প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে এই ১৫ দিনে ১১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৭৪৪ কোটি টাকা।
দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে।
চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে ১০১ কোটি ৯০ লাখ ১০ (১.০২ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
রেমিটেন্সে প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে এই ১৫ দিনে ১১ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৭৪৪ কোটি টাকা।
মাসের বাকি ১৬ দিনে (১৬ থেকে ৩১ মার্চ) এই হারে এলে মাস শেষে ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মতো এই মাসেও রেমিটেন্সের অঙ্ক ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে হিসাব বলছে।
রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে অর্থনীতির এই সূচক আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা।
২০২৪ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ (২.১১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারি মাসে তার চেয়েও বেশি ২১৬ কোটি ৬০ লাখ (২.১৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন। যা ছিল আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ফেব্রুয়ারি মাসে গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স এসেছিল । ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ৪ লাখ (১.৫৬ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল প্রায় ২ বিলিয়ন (১৯৯ কোটি ১২ লাখ) ডলার। তার আগের দুই মাস অক্টোবর ও নভেম্বরেও বেশ ভালো রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। অক্টোবরে এসেছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার; নভেম্বরে ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার রেমিটেন্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, মার্চ মাসের ১৫ দিনে প্রায় ১০২ কোটি ডলার রেমিটেন্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
বেসরকারি ৪৩ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৭ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর নয়টি বিদেশি ব্যাংক এনেছে ৩২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ১৫ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
ব্যাংকগুলোর আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। এছাড়া অনেক ব্যাংক বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিটেন্স সংগ্রহ করায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
কমেন্ট