রিজার্ভ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক পদক্ষেপ

রিজার্ভ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক পদক্ষেপ

ফাইল ছবি

বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। এই সূচক বাড়াতে আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা, বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ, এডিবি, এআইআইবি, জাইকাসহ বিভিন্ন দাতাসংস্থার ঋণ-সহায়তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ সবের বাইরে রিজার্ভ বাড়াতে আরেকটি পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বাংলাদেশে কোম্পানি অনুমোদন ও নিবন্ধনের আগেই সম্ভ্যাব্য বিদেশি বিনিয়োগের বিপরীতে প্রস্তাবিত কোম্পানির নামে বৈদেশিক মুদ্রায় অস্থায়ী এফসি (ফরেইন কারেন্সি) হিসাব খোলার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার এক সাকুর্লারে বলা হয়েছে, অস্থায়ী হিসাবটি এক বছরের জন্য পরিচালনা করা যাবে। এসব হিসাব থেকে প্রয়োজনে অনুমোদিত উপায়ে বিদেশি দায় পরিশোধের সুযোগ থাকবে। আর মূলধনী ব্যয় মেটাতে বা নগদ উত্তোলনের জন্য টাকায় বিনিময় করা যাবে।

এ বিষয়ে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী এডি (অথোরাইজড ডিলার) ব্যাংক শাখাকে নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, কোম্পানি গঠন ও নিবন্ধনের পর অস্থায়ী হিসাব থেকে স্থায়ী এফসি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করতে হবে।

এ সিদ্ধান্ত বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। আর চাপে থাকা রিজার্ভ বাড়ানো ও ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে কোম্পানি গঠন বা বিনিয়োগ অনুমোদনের আগেই এমন বিদেশি মুদ্রায় অস্থায়ী হিসাব পরিচালনা করার সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক হিসাবে আগেভাগেই অর্থ এনে জমা রাখতে পারবেন।

বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থ দেশে আনা যায় দুই পদ্ধতিতে। স্থানীয় কোনো অংশীদার না থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোম্পানি গঠন করতে হয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। এরপর কোম্পানির নামে খোলা এফসি হিসাবে বিদেশি মুদ্রা আনা যায়।

অপরদিকে স্থানীয় অংশীদার থাকলে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীর অর্থ দেশে আনার সুযোগ তৈরি হয়। এক্ষেত্রেও কোম্পানির সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে এফসি হিসাব থাকতে হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে ৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।

রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার

এদিকে রিজার্ভের পরিমাণ খানিকটা বেড়েছে। বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সরোয়ার হোসেন এআরএইচ ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত দুই সপ্তাহ ধরে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার রিজার্ভের অঙ্ক ছিল ২৯ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। বুধবার একটি দাতাসংস্থার ঋণ রিজার্ভে যোগ হওয়ায় এই সূচক ফের ৩০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান।

 

 

আইএমএফের কথামতো রিজার্ভের হিসাব করবে বাংলাদেশ পরবর্তী

আইএমএফের কথামতো রিজার্ভের হিসাব করবে বাংলাদেশ

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর