রিজার্ভ আর কমবে না: গভর্নর
শনিবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইসলামী ব্যাংকের ঘাটাইল শাখা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গভর্নর।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) অতিরিক্ত ৩ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। সে কারণেই বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে; অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক আর কমবে না বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি।
শনিবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইসলামী ব্যাংকের ঘাটাইল শাখা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গভর্নর।
গভর্নর বলেন, “আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না।
“আগস্ট মাসের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিটেন্স এসেছে “
অর্থপাচার কমে যাওয়ার সুফল অর্থনীতি পাচ্ছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, “এখন দুর্নীতি নেই, উচ্চপর্যায়েও দুর্নীতি নেই এবং থাকবেও না। সরকারের প্রত্যেক ব্যক্তি সৎ এবং তারা ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে রিজার্ভ কমবে না বরং বাড়বে।
“২৬ থেকে ২৮ শতাংশ রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দেখছি। এটা কিন্তু অল্প টাকা নয়। এর কারণ অর্থপাচার কমে গেছে। অর্থাৎ সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পাচার কমেছে। ফলে অর্থটা বাইরে ডাইভার্ট না হয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে।”
রিজার্ভের প্রধান দুই উৎস হচ্ছে—প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিল।
অন্যদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলেছে এই পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
কমেন্ট