বিদেশি বিনিয়োগের ২৯ শতাংশই এসেছে ইপিজেডে

বিদেশি বিনিয়োগের ২৯ শতাংশই এসেছে ইপিজেডে

গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে দেশের মোট বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ২৯ শতাংশই এসেছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা ইপিজেডে। আর গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের ১৬ শতাংশ এসেছে ইপিজেড থেকে।

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীর গ্রিন রোডের বেপজা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

২০২৩-২৪ অর্থবছর শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ জুলাই; শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের ৩০ জুন। ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ২০২৪-২৫ অ্থবছর।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আশরাফুল কবীর, সদস্য (প্রকৌশল) ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন বেপজার জনসংযোগ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাঈদ মোআনোয়ার পারভেজ।

অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, বৈশ্বিক ও দেশের অভ্যন্তরীণ নানা কারণে গত ছয় মাসে ইপিজেডগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২২ শতাংশ কমে গেছে। তবে বিনিয়োগ কমলেও রপ্তানি বেড়েছে। এ সময়ে ইপিজেডের রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশের বেশি।

আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ইপিজেডগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে। এ বিষয়ে আমরা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।’

বর্তমানে দেশে বেপজার অধীনে মোট আটটি ইপিজেড ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকা, মোংলা, কুমিল্লা, উত্তরা, ঈশ্বরদী, কর্ণফুলী ও আদমজী ইপিজেড এবং চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল।

সংবাদ সম্মেলনে বেপজা সদস্য আশরাফুল কবীর জানান, গত অর্থবছরে দেশে মোট ১৪৬ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছিল। এর মধ্যে শুধু রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোতে (ইপিজেড) এসেছে ৪২ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার। সেখানে বেপজার মাধ্যমে রপ্তানি হয়েছে ৭০৭ কোটি ডলারের পণ্য।

২০২৪ সালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বেপজার সঙ্গে ২৮টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে বলে জানান আশরাফুল কবীর। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ পর্যন্ত বেপজার ইপিজেডগুলোতে ৩৮টি দেশ থেকে বিনিয়োগ এসেছে। সবচেয়ে বেশি এসেছে চীন থেকে। চীনের মোট ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে ইপিজেডে। এরপর বিনিয়োগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ৬১টি, জাপানের ২৯টি, ভারতের ১৯টি, যুক্তরাজ্যের ১৯টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি ও শ্রীলঙ্কার ৭টি প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো অন্যান্য দেশের।

বর্তমানে আটটি ইপিজেড ও বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ৪৪৯ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। এর মধ্যে শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ২৫৮টি, যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ৪৯টি ও শতভাগ দেশীয় প্রতিষ্ঠান ১৪২টি। এ ছাড়া আরও ১০৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বাইরে পটুয়াখালী ও যশোরে দুটি ইপিজেড স্থাপনের কাজ চলছে। আর গাইবান্ধায় একটি ইপিজেড স্থাপনের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদেশি ঋণের এক তৃতীয়াংশই দিয়েছে এডিবি পরবর্তী

বিদেশি ঋণের এক তৃতীয়াংশই দিয়েছে এডিবি

কমেন্ট