সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে পুঁজিবাজারে

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে পুঁজিবাজারে

দুই দিন পতনের পর মূল্যসূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে। তবে লেনদেন কমেছে।

সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৩ পয়েন্টের মত।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট।

তবে দুই বাজারে লেনদেন বেশ খানিকটা কমেছে।

বুধবার ডিএসইতে ৭৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৩০৮ কোটি ৮ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ৮৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ২২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৩৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে ৭৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৩০৮ কোটি ৮ লাখ টাকা কম।

মঙ্গলবারের এই বাজারে ১ হাজার ৮৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বুধবার ডিএসইতে ৩৪৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৮টির।

অপর বাজার সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৫ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৭০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার। মঙ্গলবার এই বাজারে লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

বুধবার হাতবদল হয়েছে ২১০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এরমধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৭৪টির; কমেছে ৪৬টি। আর অপরিবর্তিত ছিল ৯০টির দর।

বীমা খাতের উত্থান

বুধবার লেনদেনের শীর্ষে বীমা খাত। এর মধ্যে আবার জীবন বীমা কোম্পানিতেই বিনিয়োগগকারীদের আগ্রহ বেশি।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকাতেও এ খাতের প্রাধান্য। সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির ৯টি এবং ২০টি কোম্পানির ১৮টি এবং ৩০টি কোম্পানির ২৫টিই বীমা খাতের।

মোট লেনদেনের ৩৪ শতাংশই হয়েছে এই খাতের। এর মধ্যে জীবন বীমায় হয়েছে ২৩ শতাংশের বেশি, সাধারণ বীমায় ১১ শতাংশের কাছাকাছি।

জীবন বীমার ১৫টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৪টি, একটি হাতবদল হয়েছে আগের দিনের দরে। এসব কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।

এর মধ্যে ৫টি কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে, আরও একটির দর ৯ শতাংশের বেশি, একটির দর ৮ শতাংশের বেশি, দুটি সাত শতাংশের বেশি, একটি করে কোম্পানির দর ৬, ৫, ৩ ও ২ শতাংশ বেড়েছে।

সাধারণ বীমায় বেড়েছে ৪০টি কোম্পানির দর। দুটি আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হয়েছে প্রায় ৭৯ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সাতটি কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। তিনটির দর ৮ শতাংশের বেশি, দুটির দর ৭ শতাংশের বেশি, চারটি করে কোম্পানির দর ৬ ও ৫ শতাংশের বেশি, পাঁচটির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা খাদ্য খাতে লেনদেন হয়েছে ১১ শতাংশ। দর বেড়েছে ১১টি কোম্পানির। ৫টির দর ছিল অপরিবর্তিত, ৫টির দর কমেছে।

তৃতীয় অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। যেখানে দর বেড়েছে ৭টির, ১২টি আগের দিনের দরে এবং তিনটি দর হারিয়ে হাতবদল হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তি, প্রকৌশল, ওষুধ ও বিবিধ খাত ছিল এর পরের পর্যায়ে। ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে এখনও আগ্রহ পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা।

শীর্ষ দশে বঙ্গজ ছাড়া সবই বীমার

সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে খাদ্য খাতের বঙ্গজ এবং বীমা খাতের ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স ও দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের।

সোনালী লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স ছিল পরের অবস্থানে। এগুলোর দর একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ছিল, বেড়েছে ততটাই।

সূচকের উত্থানেও দরপতন যেগুলোর

সবচেয়ে বেশি ৬.৮০ শতাংশ দর হারিয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। শীর্ষ দশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টি কোম্পানি দর হারিয়েছে ২.৩৫ শতাংশ।

বাকি আটটি কোম্পানির দর কমেছে এক শতাংশের বেশি। এগুলো হলো সিলকো ফার্মা, সোনালী আঁশ, রেকিট বেনকিনজার, খান ব্রাদার্স পিপিওভেন, আরগন ডেনিম, মেট্রো স্পিনিং মিলস, আরামিট সিমেন্ট ও হাওয়েল টেক্সটাইল।

এগুলোর দর ১.২২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১.৮৬ শতাংশ কমেছে।

 

সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের নীতিমালা জারি পরবর্তী

সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের নীতিমালা জারি

কমেন্ট