ঈদের আগে থমকে আছে পুঁজিবাজার

ঈদের আগে থমকে আছে পুঁজিবাজার

নতুন মুদ্রানীতিকে ঘিরে পুঁজিবাজার দরপতনের বৃত্তে পড়ার পর সেখান থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছিল। কিন্তু একদিন মূল্যসূচক বাড়ছিল, তো অন্যদিন কমছিল। লেনদেনেও একই হাল; উঠানামা করছিল।

এরই মধ্যে ঘনিয়ে আসছে কোরবানির ঈদ। ঈদের ছুটির আগে থমকে আছে পুঁজিবাজার। তেমন উত্থান-পতন নেই। মূল্যসূচক বাড়লে অল্প বাড়ছে; আবার কমলেও সামান্য কমবে। দুই বাজারেই একই চিত্র।

২৯ জুন দেশে ঈদ উদযাপিত হবে। ২৭ জুন থেকে শুরু হবে ছুটি। তার আগে ২৫ ও ২৬ জুন পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। অর্থাৎ ঈদের ছুটির আগে আর মাত্র দুই দিন লেনদেন হবে।

সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১৯ দশমিক ২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন বুধবার এই সূচক বেড়েছিল ৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট।

তার আগের দিন মঙ্গলবার ডিএসইএক্স ১২ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমেছিল। মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন রোববার এই সূচক মাত্র ১ পয়েন্ট বেড়েছিল। পরের দিন অবশ্য ৩৩ পয়েন্টের মত বেড়েছিল।

তবে সপ্তাহজুড়েই লেনদেনে খরা ছিল পুঁজিবাজারে; ৪০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে।

অথচ ১৮ জুন মুদ্রানীতি ঘোষণার ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে ৩৬৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯০টির দর।

৭৮৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ১৫৫ কোটি টাকা বেশি। বুধবার এই বাজারে ৬৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৭ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

২২৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮০টির দর।

লেনদেন-সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে পরবর্তী

লেনদেন-সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে

কমেন্ট