ঈদের আমেজ কাটছে পুঁজিবাজারে, বাড়ছে লেনদেন
প্রতীকী ছবি
অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মত পুঁজিবাজারেও ঈদের আমেজ কেটে পুরোদমে লেনদেন শুরু হয়েছে। সে কারণে সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার দুই বাজারেই লেনদেনের অঙ্ক বেশ বেড়েছে।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার খুলেছে পুঁজিবাজার; লেনদেন হচ্ছে আগের মতই। তবে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা কম ছিল। লেনদেনে গতি ছিল না; মূল্যসূচকেও খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছিল না।
বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সামান্য বাড়লেও লেনদেন বেশ খানিকটা বেড়েছে। এদিন এই বাজারে ৮৯০ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এই অঙ্ক ঈদের ছুটির পর সবচেয়ে বেশি। ঈদের ছুটির পর প্রথম লেনদেন দিবস রোববার ডিএসইতে ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
মঙ্গলবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
ঈদের আগে ২৬ জুন শেষ লেনদেনের দিন এই বাজারে ৭৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৩৬ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ০৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯২ পয়েন্টে।
৩৭২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮০টির দর।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৭২৭ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
ঈদের ছুটির পর প্রথম লেনদেন দিবস রোববার এই বাজারে লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
২২৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯১টির দর।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে যে সব কোম্পানি
বুধবার ডিএসইতে খাত হিসেবে বস্ত্রের প্রাধান্য থাকলেও সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হওয়া চারটি কোম্পানি ছিল অন্য খাতের। এগুলো হল খাদ্য খাতের ফুওয়াং ফুডস, ব্যাংকিং খাতের রূপালী ব্যাংক এবং প্রকৌশল খাতের ডোমিনোজ স্টিল ও অলিম্পিক একসেসোরিজ।
চারটি কোম্পানির মধ্যে তিনটির ফ্লোর ছুটেছে সম্প্রতি, একটির গত মাসে।
এর পরের ছয়টি কোম্পানির চারটিই বস্ত্র খাতের। এর মধ্যে হামিদ ফেব্রিক্সের দর ৮ শতাংশের বেশি, সিএনএ টেক্সটাইল ও জেনারেশন নেক্সট ও ড্রাগন স্যুয়েটারের দর ৭ শতাংশের বেশি।
অন্য দুটি কোম্পানি খান ব্রাদার্সের দর সাড়ে ৬ শতাংশ এবং ইন্দোবাংলা ফার্মার দর বেড়েছে ছয় শতাংশের কাছাকাছি।
বস্ত্র খাতের আরও একটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশ, চারটির ৪ শতাংশ, দুটির ৩ শতাংশ, ছয়টির বেড়েছে ২ শতাংশ।
পতনের শীর্ষে যে সব কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির পাঁচটিই জীবন বীমা কোম্পানি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭.৯৬ শতাংশ দর হারিয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ। প্রাইম ও সোনালী লাইফ ৪ শতাংশের বেশি এবং মেঘনা ও চার্টার্ড লাইফ ৩ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।
পতনের শীর্ষে অন্য কোম্পানির মধ্যে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ৫ শতাংশের বেশি, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ শতাংশের বেশি, জেএমআই হসপিটাল, পেপার প্রসেসিং ও ওরিয়ন ইনফিউশন দর হারিয়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
কমেন্ট