লেনদেন-সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে

লেনদেন-সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে

লেনদেনের পাশাপাশি মূল্যসূচকও বেড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার দুই বাজারেই একই চিত্র দেখা গেছে।

কোরবানির ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই লেনদেন বাড়তে বাড়তে সোমবার দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করে এক হাজার ৮৪ কোটি টাকায় উঠেছিল। 

কিন্তু একদিন পর মঙ্গলবার সেই লেনদেন হোঁচট খেয়ে এক ধাক্কায় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে; ৬৪৫  কোটি ৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। 

বুধবার সেই লেনদেন বেশ খানিকটা বেড়েছে; ৮৫৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।  

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে টানা সাত কর্মদিবস লেনদেন বেড়েছিল ডিএসইতে। ছুটির পর ২ জুলাই প্রথম লেনদেন দিবসে এই বাজারে ৫১৫   কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।    

ঈদের আগে ২৬ জুন শেষ লেনদেনের দিন এই বাজারে ৭৭০  কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।    

চলতি সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে  অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৩৬ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।  

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে।  

৩৭০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৭টির দর।  

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৭১৮ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা।   

আগের দিন মঙ্গলবার এই বাজারে দ্বিগুণেরও বেশি ১২ কোটি ৩৫  লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।   

ঈদের ছুটির পর প্রথম লেনদেন দিবসে এই বাজারে লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১১  কোটি ৫৫ লাখ টাকা।    

২১০ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮২টির দর। 

দর বৃদ্ধির শীর্ষে 

সবচেয়ে বেশি ৯.৯১ শতাংশ দর বেড়েছে মাসের পর মাস ক্রেতা খুঁজে না পাওয়া ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের। লভ্যাংশ ঘোষণা করেও বিতরণ না করা, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করার পরও শেয়ারদর এই লাভ দিল। 

দর বৃদ্ধির সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়েছে রূপালী ব্যাংক, জনতা ইন্স্যুরেন্সম ওরিয়ন ইনফিউশন, এপেক্স ফুডসেরও। 

সিএনএ টেস্টটাইলস, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফাইন ফুডস, এডিএন টেলিকম, ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজও ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকা। 

এগুলোর দর ৫.৪৭ শতাংশ থেকে ৮.১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। 

পতনের শীর্ষে 

সবচেয়ে বেশি ৮.৩৩ শতাংশ দর হারিয়েছে অলিম্পিক একসেসোরিজ। লোকসানি কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে লাফাচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। 

ইয়াকিন পলিমার, ফুওয়াং সিরামিকস, প্রগ্রেসেফ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৪ শতাংশের বেশি, জেনারেশন নেক্সট, প্রাইম লাইফ, চার্টার্ড লাইফ, লুবরেফ ও সোনালী লাইফের দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি।

হাজার কোটি টাকা ছাড়ানোর পরের দিনই লেনদেন নেমে এল অর্ধেকে পরবর্তী

হাজার কোটি টাকা ছাড়ানোর পরের দিনই লেনদেন নেমে এল অর্ধেকে

কমেন্ট