চাঙাভাব নিয়ে সপ্তাহ শুরু করল পুঁজিবাজার
চাঙাভাব নিয়ে সপ্তাহ শুরু করল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। লেনদেনের পাশাপাশি মূল্যসূচকও বেশ খানিকটা বেড়েছে। বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। দুই বাজারেই একই চিত্র দেখা গেছে।
সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেন কমে গত সপ্তাহ শেষ করেছিল পুঁজিবাজারে। চলতি সপ্তাহ ইতিবাচক ধারায় শুরু হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করেছে।
সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ২৬ পয়েন্টের বেশি। অপর বাজার অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫৯ পয়েন্টের মত।
কোরবানির ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই লেনদেন বাড়তে বাড়তে গত সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করে এক হাজার ৮৪ কোটি টাকায় উঠেছিল।
কিন্তু একদিন পর মঙ্গলবার সেই লেনদেন হোঁচট খেয়ে এক ধাক্কায় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে; ৬৪৫ কোটি ৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
বুধবার সেই লেনদেন বেশ খানিকটা বেড়ে ৮৫৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা ১০৫ কোটি টাকার মত কমে ৭৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় নেমে এসেছে।
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে টানা সাত কর্মদিবস লেনদেন বেড়েছিল ডিএসইতে। ছুটির পর ২ জুলাই প্রথম লেনদেন দিবসে এই বাজারে ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
ঈদের আগে ২৬ জুন শেষ লেনদেনের দিন এই বাজারে ৭৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৪২ পয়েন্টে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০২ পয়েন্টে।
৩৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯২টির দর।
সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৮ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৭৯০ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ দিন লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
২৩২ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৫টির দর।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে
শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানিই সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিলস, আজিজ পাইপস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ও কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স।
পতনের শীর্ষে
এই তালিকার শীর্ষে থাকা মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ দর হারিয়েছে ৫.৩১ শতাংশ। মুন্না অ্যাগ্রো হারিয়েছে ৪.৭ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪.৬৯ শতাংশ দর হারিয়েছে রূপালী লাইফ।
এপেক্স ফুটওয়্যার, জেনারেশন নেক্সট, সিএনএ টেক্সটাইল সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৩ শতাংশের বেশি এবং প্রগ্রেসিভ লাইফ ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা দর হারিয়েছে ২ শতাংশের বেশি।
কমেন্ট