ডিএসইতে দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন
শুধু লেনদেন নয়, মূল্যসূচকেরও পতন হয়েছে ডিএসইতে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট ৬ হাজার ৩২৯ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
পুঁজিবাজারে লেনদেনে খরা চলছে। কমতে কমতে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে।
সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪৮৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে গত ৮ জুন ডিএসইতে ৪১৮ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে দেড় ১৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বুধবার এই বাজারে ৬৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
কোরবানির ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১১ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করে এক হাজার ৮৪ কোটি টাকায় উঠেছিল।
কিন্তু একদিন পরই সেই লেনদেন এক ধাক্কায় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে; ৬৪৫ কোটি ৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
ঈদের ছুটি শেষে টানা সাত কর্মদিবস লেনদেন বেড়েছিল ডিএসইতে। ছুটির পর ২ জুলাই প্রথম লেনদেন দিবসে এই বাজারে ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
ঈদের আগে ২৬ জুন শেষ লেনদেনের দিন এই বাজারে ৭৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
শুধু লেনদেন নয়, মূল্যসূচকেরও পতন হয়েছে ডিএসইতে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ১৩ পয়েন্ট ৬ হাজার ৩২৯ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫২ পয়েন্টে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৩টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বুধবার এই বাজারে লেনদেনের অঙ্ক ছিল একেবারেই কম ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
১৭০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭২টির দর।
কমেন্ট