ডিএসইতে কারিগরি ত্রুটি, অনিশ্চিত সোমবারের লেনদেন
ডিএসইর প্রতিদিন বিকেল ৩টা বা সাড়ে ৩টার মধ্যে প্রতিদিনের লেনদেনের শেয়ার নিষ্পত্তি হলেও রোববার রাত ১১টা নাগাদ ৬০টির বেশি ব্রোকার হাউজের লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারেনি ডিএসই। ফাইল ছবি
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কারিগরি ত্রুটির কারণে লেনদেন নিষ্পত্তিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। রোববার রাত ১১ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬০টির বেশি ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন নিষ্পত্তি হয়নি।
ফলে সোমবারের লেনদেন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ডিএসই’র ব্রোকারেজ হাউসগুলোর।
এই ঘটনাকে কারিগরি ত্রুটি বলছে ডিএসই। ডিএসইর প্রতিদিন বিকেল ৩টা বা সাড়ে ৩টার মধ্যে প্রতিদিনের লেনদেনের শেয়ার নিষ্পত্তি হলেও রোববার রাত ১১টা নাগাদ ৬০টির বেশি ব্রোকার হাউজের লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারেনি ডিএসই।
ফলে এসব হাউজের কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত অফিস করছেন। রাতের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তবে সোমবার এসব হাউজে লেনদেন অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
নিয়মানুযায়ী, প্রতিদিন লেনদেন শেষে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য শেয়ার কেনাবেচা–সংক্রান্ত ডেটা বা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে সরবরাহ করে ডিএসই। সে অনুযায়ী শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পন্ন করে ব্রোকারেজ হাউসগুলো।
কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। তাতে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে লেনদেন–সংক্রান্ত ডেটা না পাওয়ায় লেনদেন নিষ্পত্তি করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে ৬০টির বেশি ব্রোকারেজ হাউস।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসগুলো লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষায় ছিল। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান লেনদেন নিষ্পত্তি করতে না পারলে তাতে দিনের শেয়ার কেনাবেচার আদেশগুলো কার্যকর হবে না।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা। যদি শেষ পর্যন্ত লেনদেন নিষ্পত্তি না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর রোবারের শেয়ার কেনাবেচা–সংক্রান্ত সব আদেশ বাতিল করতে হবে।
জানতে চাইলে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি।”
এদিকে একাধিক ব্রোকারেজ হাউস তাদের বিনিয়োগকারীদের খুদে বার্তায় জানিয়েছে, লেনদেন নিষ্পত্তি করতে না পারায় তারা যথাসময়ে পত্রকোষ বা পোর্টফোলিওর তথ্য সরবরাহ করতে পারছে না।
কমেন্ট