পুুঁজিবাজারে বড় দরপতন
সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৯৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
লেনদেন কিছুটা বাড়লেও মূল্যসূচক বেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। দুই বাজারেই একই চিত্র দেদখা গেছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৯৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে।
সোমবার ডিএসইতে ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২৮টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৬টির।
সোমবার ডিএসইতে ৪৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি। রোববার এই বাজারে ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
কোরবানির ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১১ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করে এক হাজার ৮৪ কোটি টাকায় উঠেছিল।
কিন্তু একদিন পরই সেই লেনদেন এক ধাক্কায় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে; ৬৪৫ কোটি ৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
ঈদের ছুটি শেষে টানা সাত কর্মদিবস লেনদেন বেড়েছিল ডিএসইতে। ছুটির পর ২ জুলাই প্রথম লেনদেন দিবসে এই বাজারে ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
ঈদের আগে ২৬ জুন শেষ লেনদেনের দিন এই বাজারে ৭৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬২৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রোববার এই বাজারে লেনদেনের অঙ্ক ছিল একেবারেই কম ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
১৫৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টির দর।
কমেন্ট