পুঁজিবাজারে বড় দরপতন, লেনদেন তলানিতে

পুঁজিবাজারে বড় দরপতন, লেনদেন তলানিতে

বুধবার ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২০ দশমিক ৮০ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

দরপতন চলছেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। দুই বাজারেই একই অবস্থা; লেনদেন নেমে এসেছে তলানিতে। বিনিয়োগকারীরা হতাশ ও ক্ষুব্দ। 

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্টের বেশি কমেছিল। জাতীয় শোক দিবসের কারণে সরকারি ছুটি থাকায় মঙ্গলবার লেনদেন বন্ধ ছিল। 

বুধবার ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২০ দশমিক ৮০ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ পয়েন্টে। 

লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের লেনদেন দিবস সোমবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৪১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।  

৩০১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১৬টির, কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৯টির দর। 

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৪৩৫ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে। 

১১ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সোমবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।   

লেনদেন হয়েছে ১৫৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির; কমেছে ৭৫টির। আর দর বদলায়নি অর্থাৎ সোমবারের দরেই লেনদেন হয়েছে ৭৩টির দর।  

বাজারের এই দীর্ঘ মন্দায় হতাশ ও ক্ষুব্দ ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী। বাজার শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আদৌ কোনো দিন ভালো হবে কী না? এ সব নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই তারা।  

বাজারে কী হয়েছে-জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবু আহমেদ এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “বাজারে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার ভালো হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাজারে এখন নতুন কোনো সাধারণ বিনিয়োগকারী আসছে না। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নিজেরাই চেষ্টা করছেন তাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াতে।”   

এর সমাধান কোথায় এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আবু আহমেদ দুষছেন, ফ্লোর প্রাইসকে। বলেন, “সিলেক্টিভ ৩০টি কোম্পানির দিকে তাকালে দেখা যায় ২৩টিই আছে ফ্লোরে, তাহলে বাজারে লেনদেন হবে কেমনে?”   

বাজারে স্বাভাবিক ধারা ফিরিয়ে আনতে তার পরামর্শ, ফ্লোর প্রাইস তুলে দিতে হবে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও বাজারমুখী হবেন বলে আশা এই পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞের।   

পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংগঠন পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “শেয়ারবাজারে যেভাবে দরপতন হচ্ছে তাতে প্রতিদিন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি হারাচ্ছেন। বিনিয়োগ করা পুঁজি হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি।”

ডিএসইর লেনদেন আবার ৪০০ কোটি টাকার নিচে পরবর্তী

ডিএসইর লেনদেন আবার ৪০০ কোটি টাকার নিচে

কমেন্ট