পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫০ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ২২৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে।

ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়ার পর পুঁজিবাজারে চাঙাভাব ফিরে আসার যে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল দুই দিন না যেতেই তা উবে গেছে। বড় দরপতন হয়েছে দুই বাজারে। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।

সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫০ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ২২৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪৭ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে নেমেছে ১৭ হাজার ৮১১ দশমিক ৩১ পয়েন্টে।

দেড় বছর পর দুই দফায় ১২টি ছাড়া সব কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রথম দফায় গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৩৫টি বাদে সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিএসইসি।

সে মোতাবেক চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার থেকে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের শুরুতেই বাজারে বড় ধস নামে। এক পর্যায়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ৯৬ পয়েন্ট কমার মধ্য দিয়ে ওই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

তবে পরের দিন সোমবারই বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়। সূচক ৬ হাজার ২৪০ পয়েন্টে থাকা অবস্থায় ডিএসইএক্স লেনদেন শুরুর পরপরই প্রায় ৫০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে এর পর থেকেই তা আবার বাড়তে শুরু করে।

শেষ পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে ওই দিনের লেনদেন শেষ হয়। সূচকটি অবস্থান করে ৬ হাজার ২৫৪ দশমিক ৩০ পয়েন্টে।

সোমবার লেনদেন শেষে আরও ২৩টি কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। তাতে পুঁজিবাজারে এখন ফ্লোর প্রাইস আরোপ রয়েছে মাত্র ১২টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর।

দ্বিতীয় ধাপে ২৩ কোম্পানির শেয়ার দরের সর্বনিম্ন সীমা বা ‘ফ্লোর প্রাইস’তুলে দেওয়ার পর সূচক বৃদ্ধির ধারা ধরে রাখে পুঁজিবাজার।

সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭৬ দশমিক ২৫ পয়েন্ট।

বুধবার ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ১১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৯ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল সামান্য বেশি, ১ হাজার ১৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৬টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ৩০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দর।

সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দর।

পুঁজিবাজারে চাঙাভাব, ৮ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন পরবর্তী

পুঁজিবাজারে চাঙাভাব, ৮ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন

কমেন্ট