তিন দিন পর সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে
ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৭ দশমিক ২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন রোববার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৮৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
টানা তিন কার্যদিবস কমার পর মূল্যসূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে। তবে লেনদেন কমেছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৭ দশমিক ২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন রোববার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৮৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ২৬৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। রোববার এই বাজারে ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর তুলে নেওয়ার পর দুই দিন ভালোর ইঙ্গিত দিলেও ফের দরপতন শুরু হয় বাজারে। টানা তিন কার্যদিবস দুই বাজারেই মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। এই তিন দিনে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ২০০ পয়েন্টের মতো। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা যায়।
৩৫টি কোম্পানিকে হাতে রেখে বাকিগুলোর শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর গত সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার বড় দরপতনের পর দুই দিন (সোম ও মঙ্গলবার) বাজারে সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখি। ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছিল। সবাই ভেবেছিলেন বাজার বোধ হয় এবার ঘুরে দাঁড়াবে।
কিন্তু পরের দিন দিন (গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার)) বাজারে বড় পতন হয়।
দেড় বছর পর গত ১৮ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে বহাল রাখা হয় অনেকটা বড় মূলধনি ৩৫টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস।
বেশিরভাগ শেয়ার থেকে বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দর তুলে নেওয়ার পর প্রথম কার্যদিবস ২১ জানুয়ারি (গত সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার) দুই পুঁজিবাজারেই মূল্যসূচকের বড় পতন হয়, কমে যায় লেনদেনও। তবে পরের দুই দিন (সোম ও মঙ্গলবার) বাজারে চাঙাভাব দেখা যায়। লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকায় ওঠে।
২৩ জানুয়ারি থেকে আরো ২৩টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পরও সূচকের উত্থানে আশা সঞ্চার হয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে বুধবার থেকে টানা দিন দিনের পতনে ফের হতাশ হন তারা।
বাজারে এখন ১২টি ছাড়া সব কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে বিএসইসি।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯৭ পয়েন্টে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার ডিএসইতে ৬৬২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৮৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
লেনদেন হয়েছে ৩৮৯টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭০ টির, কমেছে ১৭৬ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির দর।
অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে ১৭ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৪ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯ টির; কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দর।
লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। রবিবার লেনদেন অঙ্ক ছিল ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
কমেন্ট