আরও ৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠল, রইল ৯
বুধবার থেকে এসব শেয়ারের ওপর কোনো ফ্লোর প্রাইস থাকবে না। তবে আগের নিয়মে প্রতিটি শেয়ারের দামের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার বা মূল্যসীমা কার্যকর হবে।
পুঁজিবাজারে আরও তিন কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি তিনটি হচ্ছ—রেনাটা, ওরিয়ন ফার্মা ও আনোয়ার গ্যালভ্যানাইজিং।
মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের এই আদেশ জারি করেছে।
বুধবার থেকে এসব শেয়ারের ওপর কোনো ফ্লোর প্রাইস থাকবে না। তবে আগের নিয়মে প্রতিটি শেয়ারের দামের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার বা মূল্যসীমা কার্যকর হবে।
বিএসইসির আগের আদেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে মোট ১২টি কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস ছিল। এর মধ্যে তিনটি থেকে বুধবার ফ্লোর প্রাইস উঠে যাবে।
বাকি ৯টির মধ্যে বহুজাতিক ৩টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠবে কোম্পানিগুলোর রেকর্ড তারিখের পর থেকে। কোম্পানিগুলো হলো ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ বা বিএটিবি, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা। সামনে এ তিন কোম্পানির রেকর্ড তারিখ ঘোষিত হবে। এর বাইরে বাকি ছয়টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সাধারণত পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানি যখন আর্থিক বছর শেষে লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তখন ওই লভ্যাংশের দাবিদার ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো একটি রেকর্ড তারিখ ঘোষণা করে। ওই তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকে। ওই দিন যাদের হাতে শেয়ার থাকে, তারাই কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশের দাবিদার হিসেবে বিবেচিত হন।
বিএসইসি জানিয়েছে, যে ছয়টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি সেগুলো হলো—বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বিএসইসির বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামতে পারে না।
দেড় বছর ধরে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা আরোপিত ছিল। তাতে শেয়ারবাজারে একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। কমে যায় লেনদেন। এমন এক পরিস্থিতিতে গত ২১ জানুয়ারি প্রথম দফায় ৩৫টি বাদে বাকি সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ জানুয়ারি তুলে নেওয়া হয় আরও ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস।
সর্বশেষ মঙ্গলবার আরও তিন কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। আর তিনটির বিষয়ে রেকর্ড তারিখের কথা বলা হয়েছে। তাতে সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে কাল থেকে ফ্লোর প্রাইস থাকছে মূলত ৯ কোম্পানির ওপর।
কমেন্ট