ডিএসইতে লেনদেন নামল ৭০০ কোটি টাকার ঘরে

ডিএসইতে লেনদেন নামল ৭০০ কোটি টাকার ঘরে

টানা দশ কার্যদিবস বাড়ার পর গত সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার থেকে বাজারে পতন শুরু হয়।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিক্রির চাপ অব্যাহত থাকায় টানা সাত কার্যদিবস প্রধান মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন কমে নেমেছে ৭০০ কোটি টাকার ঘরে।

টানা দশ কার্যদিবস বাড়ার পর গত সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার থেকে বাজারে পতন শুরু হয়। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবারও বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। দ্বিতীয় দিন সোমবারও পতন হয়েছে বাজারে। তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও মূল্যসূচক কমেছে দুই বাজারে। আর এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ছোট বিনিয়োগকারীরা।

মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৬ দশমিক ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আরেক বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে ১৭ হাজার ৯৫০ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যসীমা তুলে নেওয়ার পর কয়েকদিন বাজারে পতন হলেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে তেজিভাবে ফিরছিল বাজার। মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেন বাড়ায় বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছিল। দীর্ঘ মন্দায় যারা বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তারা ফিরে আসতে শুরু করেছিলেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের পাঁচ দিনই ডিএসইর সূচকে উল্লম্ফন দেখা যায়। তার আগের সপ্তাহের প্রথম দিন (রবিবার) ছাড়া পরের চার দিনই সূচক বেড়েছিল। গত সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার ডিএসইএক্স ৭৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়েছিল। সব মিলিয়ে দশ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৭০ পয়েন্টের মতো বেড়েছিল।

গত সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার সেই সূচক ২২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে। মঙ্গলবার কমে ৩০ দশমিক ১১ পয়েন্ট। বুধবার কমে ২৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট। শেষ দিন বৃহস্পতিবার কমেছিল ৩৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার কমে ৫৩ পয়েন্ট। সোমবার কমে ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্ট। সবশেষ মঙ্গলবার কমেছে ৩ পয়েন্টের মতো। সব মিলিয়ে এই সাত কার্যদিবসে ডিএসইএক্স ১৯০ পয়েন্ট কমেছে।

মঙ্গলবারের বাজার পরিস্থিতি

মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৬ দশমিক ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে। তবে ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩২ দশমিক ২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩৯২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৪টির, কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির দর।

এদিন লেনদেন বেশ খানিকটা কমেছে। সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার এই বাজারে ৯২৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সোমবার তা কমে ৮১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। মঙ্গলবার তা আরও কমে ৭৬৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে।

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল এক হাজার ৭৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বাড়তে বাড়তে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এই বাজারে লেনদেন এক হাজার ৮৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় উঠেছিল।

অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে ১৭ হাজার ৯৫০ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর। ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সোমবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে লেনদেন ৮০০ কোটি টাকায় নামল পরবর্তী

ডিএসইতে লেনদেন ৮০০ কোটি টাকায় নামল

কমেন্ট