উল্লম্ফনের পরের দিনই ফের দরপতন পুঁজিাবাজারে
সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৬৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে নেমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অনেক দিন পর বড় উত্থান দেখা দিয়েছিল পুঁজিবাজারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু একদিন না যেতেই সেই আশা উবে গেছে। ফের বড় দরপতন হয়েছে পুঁজিাবাজারে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৬৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে নেমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পুনঃনিয়োগের দিনে সূচকের বড় উত্থান হয়েছিল এই বাজারে। ডিএসইএক্স প্রায় ১০০ পয়েন্টের মতো বেড়েছিল। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছিল ১৮৪ পয়েন্ট। এমন উত্থান অনেক দিন দেখা যায়নি পুঁজিবাজারে।
গত কয়েক মাসের টানা দরপতনে পর সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৭ দশমিক ৩৬ দশমিক পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে অবস্থান করে।
গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক পড়ে গিয়েছিল ৬০ পয়েন্ট। সূচকের ঘরে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্ট নিয়ে রবিবার সকালে লেনদেন শুরু হয় ইতিবাচক প্রবনতায়। আধা ঘণ্টার মাথায় সূচক কিছুটা কমে গেলেও এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। লেনদেন শেষ হয় সূচকে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্ট নিয়ে।
অপর দুই সূচক ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। ডিএস-৩০ সূচক ২১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়েছিল।
কিন্তু সোমবার দুই বাজারেই মূলসূচকের পতন হয়েছে। তবে বিক্রির চাপে লেনদেন বেড়েছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৬৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে।
অপর দুই সূচক ডিএসইএস ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২১ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার ডিএসইতে ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন রবিবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৬১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ২৭৭টির। আর ৩৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রবিবার এই বাজারে ১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
সোমবার সিএসইতে ২২১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১২০টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দর।
ডিএসইর বর্তমান পরিচালক ও সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “টানা দরপতনে পুঁজিবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। সবাই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছিল। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছিল। বিক্রির চাপে বাজার পড়তে পড়তে তলানিতে নেমে এসছিল। এর মধ্যে রবিবার হঠাৎ করে সূচকের বড় উল্লম্ফন কেনো হলো—তার কোনো কারণই আমার কাছে নেই। এটা বাজারের স্বাভাবিক আচরণ নয়।”
বাজার স্বাভাবিক করতে হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন এই বাজার বিশ্লেষক।
কমেন্ট