মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ৬৪ হাজার টাকা

এক যুগে বেড়েছে ৪ গুণ
মাথাপিছু বিদেশি ঋণ
৬৪ হাজার টাকা

এমনিতেই বিশাল অঙ্কের বিদেশি ঋণের বোঝা নিয়ে প্রতি মুহূর্তে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। মাসে মাসে গুণতে হচ্ছে সুদ। সংকট সামাল দিতে আরও ঋণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ, এডিবি, জাইকাসহ বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে ধরনা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু পাওয়া গেছে। প্রতিশ্রুতিও মিলছে ভালোই। সুযোগ বুঝে নানা ধরনের কঠিন শর্ত দিচ্ছে দাতারা। সরকারকে বাধ্য হয়ে তা গিলতে হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে স্ফীত থেকে স্ফীত হচ্ছে বিদেশি ঋণের অঙ্ক; ছাড়িয়ে গেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের মধ্যেই এই অঙ্ক ১১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৪ সাল শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার ছুটছেই; আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারেই এখন এক ডলারের জন্য হাতে গুণে ১০৯ টাকা দিতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে; বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। দিন যতো যাচ্ছে সংকট ততো বাড়ছে। ডলারের দর বাড়ায় বিদেশি ঋণের জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। সার্বিকভাবে বিদেশি ঋণ নিয়ে সরকার আত্মতৃপ্তিতে ভুগলেও এর মাশুল সুদে-আসলে যে কিভাবে দিতে হবে-সেটাই এখন দুশ্চিন্তার বিষয়।

সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। আগামী ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ দাতা বা উন্নয়ন সহযোগীরা ৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের অঙ্ক অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে ১০০ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এরমধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণ ২৫ বিলিয়ন ডলার। বাকিটা সরকারের ঋণ।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই বিদেশি ঋণের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১০ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষের মাথাপিছু বিদেশি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫৯২ ডলার ৩০ সেন্ট। টাকার অঙ্কে যা ৬৪ হাজার ১১৭ টাকা। অর্থাৎ আজ যে শিশু জন্মগ্রহন করছে তাকে ৬৪ হাজার টাকার বেশি বিদেশি ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এই পৃথিবীতে আসতে হয়েছে। আর বয়সের ভারে বা যে কোনো কারণে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক মারা গেলে তাকে একই পরিমাণ ঋণের কলঙ্ক নিয়ে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের তেজ যতো বাড়ছে দেশের মানুষের মাথাপিছু বিদেশি ঋণের বোঝাও ততোই বেড়েছে। আন্তঃব্যাংক লেনদেনেই এক ডলারের জন্য এখন হাতে গুণে ১০৯ টাকা দিতে হচ্ছে। এক বছর আগে আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর ছিল ৮৬ টাকা। এ হিসাবে এই এক বছরে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। এর মানে হচ্ছে, এই এক বছরে টাকার মান ২৭ শতাংশ কমে গেছে। যার মাশুল দেশের মানুষকে উঠতে-বসতে দিতে হচ্ছে। একদিকে যেমন বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে; অন্যদিকে বিশাল অঙ্কের এই ঋণের সুদ পরিশোধ করতে আগের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

১২ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে প্রায় চারগুণ

এক যুগ আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশের মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৭ দশশিক শূন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তা দাঁড়ায় ৯১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের মার্চ শেষে তা ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এই ১২ বছরে বাংলাদেশে বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় চারগুণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ছিল ৫৫৮ ডলার। যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৪৮২ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৭ ডলার। গত অর্থবছরে দেশের মোট বিদেশি ঋণ ছিল ৯৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।

বিদেশি ঋণের এই উল্লম্ফনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকার রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কর্ণফুলী টানেলসহ বিদেশি অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্যই বিদেশি ঋণ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

কম সুদের বিদেশি ঋণ কমছে

সাম্প্রতিক ও সম্ভাব্য ঋণ গ্রহণ ও চুক্তি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তৈরি ইআরডির এক প্রতিবেদন বলছে, উচ্চ সুদহারের ঋণের পথে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কম সুদহারের বিদেশি ঋণ এখনই মিলছে কম, সামনের দিনে তা আরও কমে বাজারভিত্তিক হওয়ার পথে এগুচ্ছে; এমন প্রেক্ষাপটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে এখন বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে সরকারকে।

বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের সংস্থান ও পরিশোধসহ সার্বিক বিষয়গুলো দেখভালকারী সংস্থা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিদেশি ঋণের ৬৭ শতাংশই ছিল সবচেয়ে কম সুদের, যা নমনীয় ঋণ হিসেবে পরিচিত। চার বছরের মাথায় এমন ঋণ কমে ৫৯ শতাংশে নেমেছে। অপরদিকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উৎস থেকে বাংলাদেশের নেওয়া বিদেশি ঋণের মধ্যে ১৭ শতাংশ ছিল তুলনামূলক বেশি সুদের, যা বাজারভিত্তিক বা ফ্লোটিং ভিত্তিতে সুদহার ঠিক করা হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত এমন ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৩ শতাংশে।

এমন প্রবণতার মধ্যে বৈদেশিক অর্থায়নের ধরন, সাম্প্রতিক ও সম্ভাব্য ঋণ গ্রহণ ও চুক্তি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তৈরি ইআরডি এর এক প্রতিবেদন বলছে, দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নের ছোঁয়ার প্রভাব পর্যায়ক্রমে দৃশমান হচ্ছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিবেচনার সূচকগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হচ্ছে, স্ট্যাটাস বদলাচ্ছে। ঋণের সুদহার নির্ধারণে তা ভূমিকা রাখছে। এতে কম সুদের বদলে উচ্চ সুদহারের ঋণের পথে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত ডিসেম্বরে ইআরডির বিশ্লেষণভিত্তিক ওই প্রতিবেদনের প্রক্ষেপণ বলছে, ২০২৬ সালে গিয়ে সস্তা ঋণের সুযোগ কমে নেমে আসবে ৪৬ শতাংশে। ২০৩১ সালে তা আরও কমে ২৫ শতাংশে এবং বর্তমান অগ্রগতি বজায় রেখে ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্য বাংলাদেশ অর্জন করলে তা ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ঠিক এর বিপরীত অবস্থা হবে উচ্চ সুদহারের ঋণের ক্ষেত্রে; যেগুলোর সুদহার নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বাজারভিত্তিক বা ফ্লোটিং হিসেবে।

ইআরডির ওই বিশ্লেষণ বলছে, বর্তমান ধারা বজায় থাকলে ২০২৬ সালে বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ হবে ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০৩১ সালে তা মোট ঋণের ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশে এবং ২০৪১ সালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮২ শতাংশে। বর্তমানে কম সুদের বা নমনীয় ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ২ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। আর বাজারভিত্তিক (ফ্লোটিং রেট) ঋণের ক্ষেত্রে সোফর (দ্য সেকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট) এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ফি ও চার্জ হিসাব করে সুদ নির্ধারণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লেখাবে। অপরদিকে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ শ্রেণির মানদণ্ড অনুযায়ী সংস্থাটি ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে সুদহার বাড়ায়। তখন আগের সবচেয়ে সস্তা ঋণের সঙ্গে কিছুটা সুদহার বাড়িয়ে ‘ব্লেন্ড’ (যা মিশ্র সুদহারভিত্তিক ঋণ হিসেবে পরিচিত) সুদহার কার্যকর করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতাদের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের সুদহার ছিল ০.৭৫ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) ও কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (কোইকা) ০.১ শতাংশ। ভারত ১ শতাংশ, চীন ১ থেকে ২ শতাংশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সুদহার ছিল ১ থেকে ২ শতাংশ।

পরে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে বিশ্ব ব্যাংক কিছুক্ষেত্রে সুদহার বাড়িয়ে ১ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত করে। ওয়াশিংটনভিত্তিক এ সংস্থাকে অনুসরণ করে জাইকাও সুদহার বাড়িয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করেছে। গত কয়েক বছর ধরে চীনা ঋণের সুদহার ২ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত।

ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, উচ্চ সুদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাজারভিত্তিক ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হয় ‘লাইবর’ বা লন্ডন আন্তঃব্যাংকের (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার্ড রেট) সুদহার অনুসরণ করে এবং ‘সোফর’ (দ্য সেকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট) ও ইউরিবর এর (ইউরো ইন্টারব্যাংক অফার্ড রেট) ভিত্তিতে। তবে এখন সুদহার নির্ধারণে ‘লাইবর’ এর বদলে ‘সোফর’ অনুসরণ করা হচ্ছে। আগে লাইবর হিসেবে নেওয়া ঋণও সোফর এ রূপান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে সোফর এর হার ৪ দশমিক ৮। এর সঙ্গে অর্থায়নকারী সংস্থা ভেদে চুক্তি অনুযায়ী ফি ও চার্জ যোগ করা হয়। বর্তমানে এডিবির প্রায় ৫০ শতাংশ ঋণে এবং রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণে বাজারভিত্তিক সুদহার দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

২০২৪ সালে বিদেশি ঋণ দাঁড়াবে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর শেষে বাংলাদেশের বিদেশী ঋণের পরিমাণ ১১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। আর ২০২৪ সাল শেষে বিদেশী ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০২১ সালে সুদসহ দেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সাল শেষে তা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ডলারের দর অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধে এই বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মানুষের জীবনের এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা হচ্ছে- ঋণ আদান-প্রদান। প্রয়োজনের সময় মানুষ ঋণ নেয়। ঋণের আদান-প্রদানে ঋণগ্রহীতা ঋণের টাকা নিয়ে যেমন উপকৃত হয় এবং তার প্রয়োজন পূরণ করতে পারে, তেমনি ঋণদাতাও এর মধ্য দিয়ে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির সাহায্যে এগিয়ে আসে।

যারা ঋণ নিচ্ছেন তারা থাকবেন না, কিন্তু ঋণের বোঝা টানতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। অপ্রয়োজনীয় ঋণ করে ঘি খাওয়ার বদ হজম ও লুটপাটের দায় কেন দেশের সাধারণ মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বহন করবে?

অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১৪ ধাপ এগোল বাংলাদেশ পূর্ববর্তী

অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১৪ ধাপ এগোল বাংলাদেশ

কমেন্ট