কঠিন সময়ে মানুষের ঘাড়ে বাড়তি করের বোঝা

কঠিন সময়ে মানুষের ঘাড়ে বাড়তি করের বোঝা

উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরও বেড়ে যাবে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই কঠিন সময়ে দেশের মানুষের ওপর বাড়তি করের বোঝা বসিয়েছে সরকার। ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট বা মূসক) এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। ফলে এসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে। তাতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরও বেড়ে যাবে।

যেমন মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। আবার পোশাকের দামও বাড়তে পারে। বাড়বে রেস্তোরাঁর খাবারের খরচও।

এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও যুক্ত হবে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্য।

জানা গেছে, রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়েছে সরকার। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে। এই ঘাটতি মেটাতেই চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়াল সরকার।

এতে সাধারণ মানুষের খরচ আরও বেড়ে যাবে; যদিও সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও এনবিআর দাবি করেছে, এতে ভোক্তার বাড়তি মূল্য গুনতে হবে না।

ভ্যাট ও শুল্ক-কর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সম্প্রতি দাবি করেন, এ পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের বাজারে ‘প্রভাব পড়বে না’।

কর আদায়কারী সংস্থা এনবিআরও একই সুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দাবি করেছে, মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস করে গেলেও অভ্যুত্থানে এক মাস পরই তাদের পতন ঘটায় বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর।

ঘোষিত বাজেটে গোটা অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয় ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

প্রথম পাঁচ মাস অর্থাৎ জুলাই-নভেম্বর সময়ে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। ফলে পাঁচ মাসেই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। তবে তা আদায় করতে না পারায় সংশোধিত বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছিল।

কিন্তু এবার অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ঘাটতি তার দ্বিগুণ হওয়ায় পুরো বছর শেষে ঘাটতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সরকারের চিন্তার জন্য যথেষ্ট।

এই ঘাটতি পূরণে অর্থবছরের মাঝপথে এসে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাট শুল্ক ও আয়কর বাড়ানোর পথে হাঁটল অন্তবর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার রাতে এ-সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫। এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পর এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।

এর আগে গত ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এদিকে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা চেম্বার জানিয়েছে, এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দীর্ঘমেয়াদি কর–সুবিধার পাশাপাশি নীতি ধারাবাহিকতার প্রতিশ্রুতি রক্ষার মাধ্যমে স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা আবশ্যক বলে মনে ডিসিসিআই।

রেস্তোরাঁয় হাজার টাকা বিলে খরচ বাড়বে ১০০ টাকা

রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার খরচ বাড়ছে। কারণ সব ধরনের রেস্তোরাঁর বিলের ওপর ভ্যাট এক লাফে ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এতদিন রেস্তোরাঁয় বিলের ওপর ভ্যাট দিতে হতো ৫ শতাংশ। এখন তা হবে ১৫ শতাংশ। ফলে ১ হাজার টাকা খাবারের বিলে আগে যেখানে ৫০ টাকা ভ্যাট দিতে হতো, এখন সেখানে দিতে হবে ১৫০ টাকা; খরচ বাড়বে ১০০ টাকা।

সারা দেশে সোয়া পাঁচ লাখ রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আধুনিক এবং বৈচিত্র্যময় খাবারের দোকান আছে। শহুরে মানুষের মধ্যে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার প্রচলন বেশি। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণি পরিবার-পরিজন নিয়ে রেস্তোরাঁর খেতে গেলে আগের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হবে।

এ ছাড়া মিষ্টির দোকানের ভ্যাটও সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মিষ্টির দামও বেড়ে পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সংগঠনটি বলেছে, ভ্যাট হার আগের মতো ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা না হলে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা প্রথমে মানববন্ধন করবেন। তাতে কাজ না হলে সারাদেশে এক দিনের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হবে। এরপরও কাজ না হলে চূড়ান্ত পর্যায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা চেম্বার জানিয়েছে, এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দীর্ঘমেয়াদি কর–সুবিধার পাশাপাশি নীতি ধারাবাহিকতার প্রতিশ্রুতি রক্ষার মাধ্যমে স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা আবশ্যক বলে মনে ডিসিসিআই।

হাজার টাকার পোশাক কিনতে খরচ বাড়বে ৭৫ টাকা

পোশাক কিনতে গেলেও খরচ বাড়বে। কেননা, ব্র্যান্ডের দোকান ও বিপণিবিতানের তৈরি পোশাকের আউটলেটের বিলের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।

এতদিন পোশাক কেনার বিলের ওপর ভ্যাট দিতে হতো সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন তা হবে ১৫ শতাংশ। ফলে ১ হাজার টাকা বিলে আগে ৭৫ টাকা ভ্যাট লাগলেও এখন থেকে লাগবে ১৫০ টাকা; খরচ বাড়বে ৭৫ টাকা।

ফল-বিস্কুটের দাম বাড়ছে

সরকার পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় এলপি গ্যাস, ফল, বিস্কুট, কেক, জুস, সিগারেট ও টিস্যুর মতো পণ্যের দামও বাড়ছে।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তালিকায় থাকা অর্ধশতাধিক পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে আমদানি করা বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যেকোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট।

পাশাপাশি স্থানীয় উৎস বা দেশের মধ্যে উৎপাদিত তামাকযুক্ত সিগারেট, রং, মদের বিল, পটেটো ফ্ল্যাকস, প্লাস্টিক ও মেটাল চশমার ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তারে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

এ ছাড়া এলপি গ্যাসের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে এলপি গ্যাসের স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে বিদ্যমান ২ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

শিশুদের খাবারেও নজর এনবিআরের

বিস্কুট, জুস, ড্রিংক, ফলের রস, ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক, কেক (৩০০ টাকার বেশি দামের), আচার, টমেটো সস ও কেচাপ ইত্যাদি শিশুরা বেশি পছন্দ করে। এসব পণ্যভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।

টিস্যুর দামও বাড়বে

ফেসিয়াল টিস্যু, পকেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, টয়লেট টিস্যু, কিচেন টিস্যুসহ বিভিন্ন ধরনের টিস্যুর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে নতুন অধ্যাদেশে। আগে এই হার ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ।

সিগারেটের দাম বাড়বে

মূল্যস্তর পরিবর্তন ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে। বিভিন্ন মূল্যস্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক সাড়ে ৬৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।

টার্নওভার করের আওতা বাড়বে

বর্তমানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বার্ষিক লেনদেন হলে টার্নওভার কর দিতে হতো। এখন বার্ষিক লেনদেন ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা হলেই টার্নওভার বা লেনদেন কর দিতে হবে।

আকাশপথে ভ্রমণেও খরচ বাড়বে

আকাশপথে আবগারি শুল্ক বেড়েছে। এর ফলে আকাশপথে ভ্রমণে খরচও বাড়বে। বিমান টিকিটের দামের সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে এই শুল্ক আদায় করা হয়।

অভ্যন্তরীণ পথে বিমানযাত্রায় আবগারি শুল্ক ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে আবগারি শুল্ক ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা এবং সার্কভুক্ত দেশের বাইরে (এশিয়ার মধ্যে) ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণে আবগারি শুল্ক ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করেছে এনবিআর।

মোবাইলে কথা বলা ইন্টারনেট খরচও বাড়বে

এতদিন মুঠোফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে।

অন্য যে সব খরচ বাড়বে

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে পটেটো ফ্ল্যাকস, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি।

অর্থবছরের মাঝপথে এসে দেশের মানুষের ওপর এমন একটা সময়ে অতিরিক্ত করের বোঝা বসানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন। এখন নতুন শুল্ক-কর আরোপের ফলে এই শ্রেণির মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেজনক সূচক এখন মূল্যস্ফীতি। সরকারি হিসাবে গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ।

আগের মাস নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ; খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

ডিসেম্বরে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো– ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, গত বছরের ডিসেম্বরে সেই একই পণ্য বা সেবা পেতে ১১০ টাকা ৮৯ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে বলেছে। সে কারণে অর্থবছরের মাঝপথে এসে এভাবে হঠাৎ করের বোঝা বাড়ানোর পথে হেঁটেছে সরকার।

নতুন বছরে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার ছায়া পরবর্তী

নতুন বছরে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার ছায়া

কমেন্ট