গ্লোবাল ডেবিট কার্ড চালু করল মার্কেন্টাইল ব্যংক
আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড চালু করল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এই কার্ডের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো মুদ্রায় পস মেশিন এবং এটিএম মেশিনের লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
রোববার রাজধানীর দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কার্ডের উদ্বোধন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই কার্ডের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো মুদ্রায় পস মেশিন এবং এটিএম মেশিনের লেনদেন করা সম্ভব। এছাড়া এই কার্ড থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের টাকা স্থানান্তর করা যাবে। অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য রয়েছে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড এর ব্যবস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সংকটকালীন পরিস্থিতির মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মার্কেটাইল ব্যাংক তার টেকসই অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিশ্চিত করে প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত ব্যাংকিং ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
একইসঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা অব্যাহত রাখতে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং পণ্য ও সেবা উন্নয়নে আরও জোর দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী গত বছরের সাফল্য ও সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে নতুন ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা, কৃষি ও এসএমই খাতকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে নতুন নতুন উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং স্থাপন করে গ্রাহকের চাহিদা বাস্তবায়নে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা আরও বিস্তৃত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
“নতুন শিল্পের উন্নয়ন এবং দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম বলেন, “আগামীতে আরও টেকসই ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, আমানতের গড় সুদ হার কম রাখার লক্ষ্যে সুন্দর আমানতের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া, সম্পদের গুণগতমান বজায় রাখা, শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় আরও জোরদার করা হবে।”
“একইসঙ্গে গ্রাহকবান্ধব সেবা ও উদ্ভাবনী পণ্য, সম্পদ ও দায়ের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার দিকেও ব্যাংকের দৃষ্টি থাকবে। সমগ্র ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা বাস্তবায়নে মার্কেটাইল ব্যাংক বদ্ধপরিকর। এর পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি।”
কমেন্ট