‘গ্লোবাল ফাইন্যান্স লিডার্স’ তালিকায় বিকাশ সিইও কামাল কাদীর
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা কামাল কাদীর। ফাইল ছবি
বিশ্বের আর্থিক খাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিয়ে চলা ২৩ জন নির্বাহীকে বেছে নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের অ্যাসপেন ইনস্টিটিউটের ফাইন্যান্স লিডার্স ফেলোশিপের জন্য, যাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা কামাল কাদীর।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা অ্যাসপেন ইনস্টিটিউট গত ৮ জুন তাদের ২০২৩ সালের ‘ফিনান্স লিডার’ফেলোদের নাম ঘোষণা করে, যারা ‘মূল্যবোধ-ভিত্তিক’নেতৃত্বের মাধ্যমে আর্থিক খাতের পরিবর্তনকে সামাজিক অগ্রগতির পথে চালিত করছেন।
অ্যাসপেন ইনস্টিটিউট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “এই ২৩ জন বিশ্বের আরও শতাধিক ফাইন্যান্স ফেলোর সঙ্গে যোগ দেবেন, যারা আর্থিক খাতে একটি নতুন সাংস্কৃতিক নজির গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব এবং রোমানিয়ার আর্থিক খাতের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীরা আছেন এবারের লিডার্স ফেলোর তালিকায়।
অ্যাসপেন গ্লোবাল লিডারশিপ নেটওয়ার্কের (এপিএলএন) অংশ হিসেবে বিশ্বের ৬০টি দেশের সাড়ে তিন হাজারের বেশি ফাইন্যান্স ফেলোর সঙ্গে যুক্ত হবেন তারা।
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা কামাল কাদীর বিকাশের নেতৃত্বে আসার আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ই কমার্স কোম্পানি সেলবাজার। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ লাখে পৌঁছানোর পর ২০১০ সালে সেলবাজার কিনে নেয় নরওয়ের টেলিকম কোম্পানি টেলিনর।
২০০৮ সালে জিএসএম কংগ্রেসে ‘বেস্ট ইউজ অব মোবাইল ফর সোশাল অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’পায় সেলবাজার। ওই বছরই এশিয়া টেলিকমের ‘ইনোভেশন অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পায় ওই কোম্পানি। আর মানবকল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বীকৃতিতে ২০০৭ সালে ‘টেক অ্যাওয়ার্ড’ পান কামাল কাদীর।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম ২০০৯ সালে কামাল কাদীরকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স’তালিকায় স্থান দেয়। এমআইটির আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই ২৩ জন নির্বাহী আরও শতাধিক নেতৃত্বের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আর্থিক খাতে নতুন সাংস্কৃতিক মানদণ্ড নির্ধারণ করবেন; টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে এই মানদণ্ড।’
এ ছাড়া এই ২৩ জন অ্যাসপেন গ্লোবাল লিডারশিপ নেটওয়ার্কের (এপিএলএন) অংশ হিসেবে বিশ্বের ৬০টি দেশের ৩ হাজার ৫০০-এর বেশি মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগ দেবেন।
কমেন্ট