ব্যবসার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে রবির সিইও রাজীব শেঠি বলেন, “নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রবির সামগ্রিক কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট।”

দেশের মুঠোফোন অপারেটর রবি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। ডেটা ব্যবসা থেকেই তাদের এ মুনাফা এসেছে বলে জানিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঠোফোন অপারেটর রবি।

রাজধানীর গুলশানে বৃহস্পতিবার রবির প্রধান কার্যালয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। 

রবি জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তারা ২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা আয় করেছে। এ সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ফোর–জি নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করতে উল্লিখিত সময়ে রবি ৭৬২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ০৫ টাকা। এ সময়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রবি জমা দিয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা, যা রবির ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্জিত আয়ের ৬৬ দশমিক ৩ শতাংশ। 

রবি জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে নতুন ৮ লাখ গ্রাহক যুক্ত হয়েছে তাদের নেটওয়ার্কে। তাতে গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৬৪ লাখে। এ ছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি নেটওয়ার্কে ১০ লাখ ডেটা ব্যবহারকারী যুক্ত হয়ে মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩১ লাখে উন্নীত হয়েছে। 

রবির ফোর–জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৪ লাখে। উল্লিখিত প্রান্তিকে রবির ডেটা গ্রাহকেরা প্রতি মাসে গড়ে ৬ দশমিক ৪৩ জিবি ডেটা ব্যবহার করেছে। 

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির সার্বিক আয় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেটা আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ডেটার ব্যবহার বেড়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। 

ব্যবসার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে রবির সিইও রাজীব শেঠি বলেন, “নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রবির সামগ্রিক কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমাদের আয়ের ৩৯ শতাংশ ডেটা ব্যবসা থেকে এসেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয়ের একটা বড় অংশ বিভিন্ন মাশুল হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে, যা ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে।”