‘ফিনটেক পাইওনিয়ার’ সম্মাননা পেল বিকাশ
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এই সম্মাননা গ্রহন করেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদীর। ছবি: বিকাশ
দেশের আর্থিক প্রযুক্তি বা ফিনটেক খাতে অগ্রগামী ভূমিকা রাখায় ‘ফিনটেক পাইওনিয়ার’ সম্মাননা পেয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিকাশকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহন করেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদীর।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিকাশ।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে আটটি ক্যাটাগরিতে আটটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। আরও বক্তব্য দেন আইসিটি সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সামসুল আরেফিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অন্যতম সহযোগী হিসেবে একযুগ আগে যাত্রা শুরু করে বিকাশ। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন লেনদেনে আরো সক্ষমতা ও স্বাধীনতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বিকাশ।
৭ কোটি গ্রাহক, ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট, সাড়ে ৫ লাখ মার্চেন্ট নিয়ে বিকাশ এখন দেশের প্রতিটি পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা ও সরকারের দিক-নির্দেশনায় বিকাশ তৈরী হয়েছে পুরোপুরি দেশীয় মেধায় – ‘বিকাশ ইজ মেড ইন বাংলাদেশ, মেড ফর বাংলাদেশ’।
“আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অনন্য প্রতিষ্ঠান বিকাশ বিশ্বের বুকে উদাহরণ তৈরি করেছে।”
ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসি, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, অ্যান্ট গ্রুপ এবং সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড থেকে ৩৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ এনেছে বিকাশ।
সরকারের কল্যাণ কর্মসূচিরও অন্যতম সহযোগী হিসেবে সব ধরনের ভাতা, প্রণোদনা, ও উপবৃত্তি স্বচ্ছতার সাথে প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে বিকাশ।
সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের অন্যতম ভিত্তি স্মার্ট অর্থনীতি বাস্তবায়নে ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিকাশ। তাই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ হবে ক্যাশবিহীন স্মার্ট বাংলাদেশ।
‘ফিনটেক পাইওনিয়ার’ সম্মাননা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর বলেন, “একযুগ ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনকে সহজ ও নিরাপদ করার নিরন্তর প্রচেষ্ঠারই স্বীকৃতি এই পুরষ্কার। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ফিনটেক পাইওনিয়ার পুরস্কার গ্রহণ আমাদের পথচলাকে আরো বেগবান করবে।”
কমেন্ট