১০ লাখ পোশাক কর্মী বেতন পাচ্ছেন বিকাশে
বিকাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এবং চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ফাইল ছবি
দেশের শীর্ষস্থানীয় আরও আটটি তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের ৩৬ হাজার কর্মী ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বিতরণ করবে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশের পে-রোল সল্যুশনের মাধ্যমে।
আর এ নিয়ে পোশাক শিল্পের ১ হাজার ১০০টি কারখানার ১০ লাখের বেশি কর্মী ও শ্রমিকের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে বিকাশের ডিজিটাল পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করে।
সম্প্রতি বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে নতুন আটটি তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিকাশের এ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে এখন থেকে এই আট শিল্প কারখানার কর্মী ও শ্রমিকরা বিকাশের মাধ্যমে তাদের বেতন-ভাত পাবেন বলে এমএফএস প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজুদ্দিন গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল নোমান, টার্গেট গ্রুপের গ্রুপ অ্যাডভাইসর আব্দুল হক, জামালউদ্দিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল উদ্দিন মিয়া, শাহানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান অপু, ব্রিটানিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিল আহমেদ এবং প্যাট্রিয়ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান এবং হ্যামস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান।
বিকাশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ এবং চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পে-রোল সল্যুশন ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষকে এখন আর ক্যাশ টাকা বহনের খরচ ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয় না, নষ্ট হয় না মূল্যবান কর্মঘন্টা।
এছাড়াও বেতন দেওয়ার সময় খুচরা ও নকল টাকার ঝামেলাও এড়ানো যাচ্ছে। বেতন বিতরণ ব্যবস্থাপনা হয়েছে আরো সহজ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক।
কর্মীরা এখন বিকাশে পাওয়া বেতন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ব্যবহার করে তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করার সুযোগ পাচ্ছেন। শ্রমিকরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই নিতে পারছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো লোন, সেভিংস, বীমাসহ আরও অনেক আর্থিক সেবা।
বিকাশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতনই নয়, এ খাতের কর্মীদের জন্য একটি টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। এর অংশ হিসেবে বেশকিছু কারখানার ভেতরেই ন্যায্য মূল্যের দোকান ‘সুলভ বাজার’ ও ‘আপন বাজার’ স্থাপন করেছে বিকাশ, যেখানে শ্রমিকরা বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
এছাড়া নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কারখানায় অটোমেটিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে বিকাশ।
পাশাপাশি আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শ্রমিকদের আরো সচেতন করতে কারখানা প্রাঙ্গণে এমএফএসের নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে আসছে বিকাশ।
শ্রমঘন এলাকায় আছে বিকাশের বিশেষ গ্রাহক সেবাকেন্দ্র, কারখানার ফটকের পাশে এবং শ্রমিকদের আবাসস্থলের কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে এজেন্ট পয়েন্ট এবং গড়ে তোলা হচ্ছে মার্চেন্ট অবকাঠামো।
কমেন্ট