ঢাকায় গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা বর্গফুট, বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা

ঢাকায় গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা বর্গফুট, বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা

ফাইল ছবি

ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার; ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৩ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪ টাকা বেড়েছে।

ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়; গত বছর এই দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।

ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, গতবছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল।

এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে চামড়ার এই দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

যদিও গত কয়েক বছর দেশে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক কম দামে কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে। অনেকে একেবারে দাম না পওয়ায় চামড়া ফেলেও দিয়েছেন।

বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার অর্ধেকেরও বেশি হয় এই কোরবানির মৌসুমে। কোরবানি যারা দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে।

পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তবে এবার খাসি ও বকরির চামড়ার দাম বাড়েনি; গতবারের দামেই বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “খাসি ও বকরির চামড়ার দাম বাড়াতে চাই না। কারণ এগুলোর সংখ্যা বেশি। খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা আর বকরির দাম ১২ থেকে ১৪ টাকা থাকছে।”

এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, প্রতিবারই দাম নির্ধারণ করা হয়, তবু ট্যানারি মালিকেরা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে ফেলে, এ বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না? তখন মন্ত্রী বলেন, “ইচ্ছা করে, কারসাজি করে কেউ যদি চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়, তখন সরকার কাঁচা চামড়া (ওয়েট ব্লু) রপ্তানির অনুমতি দেবে।”

এ বছর লবণ উৎপাদনে রেকর্ড হওয়ার পরও কেন লবণের দাম বাড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী লবণের দাম যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেন। এটা শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বলে জানান তিনি। তবু মন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন ও প্রয়োজনে যারা লবণ মজুত করছেন সেখানে হানা দেবেন বলে জানান।

বৈঠকে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলামসহ চামড়া খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

রুপিতে লেনদেন জুলাই থেকে পরবর্তী

রুপিতে লেনদেন জুলাই থেকে

কমেন্ট