চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ: আরও ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের বেশির ভাগে শেষ হয়েছে। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।
রোববার সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং এডিবির মধ্যেিএ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ইআরডির সচিব শরিফা খান এবং এডিবির আবাসিক কার্যালয়ের ইনচার্জ জিনাংবো নিং চুক্তিতে সই করেন।
ইআরডি ও এডিবি ঢাকা অফিসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ প্রকল্পে এডিবির মোট ১৫০ কোটি (১.৫০ বিলিয়ন) ডলার ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগে দুই দফায় দিয়েছে ৭০ কোটি ডলার।
রোববারের চুক্তি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন আন্তঃব্যাংক রেটের (ইউরোবর) সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদ যোগ করে পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া এ ঋণের জন্য শূন্য দশমিক ১ শতাংশ ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম এবং অবিতরণ করা ঋণের ওপর আরও শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
বর্তমানে ২৫ বছরের ইউরোবর এর সুদহার ৫ শতাংশের মতো।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের বেশির ভাগে শেষ হয়েছে। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে এডিবির মোট ১৫০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে দ্বিতীয় ধাপে ৪০ কোটি ডলার এবং তার আগে ২০১৭ সালের জুনে স্বাক্ষরিত আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে প্রথম কিস্তিতে সরকারকে ৩০ কোটি ডলার দেয়। এবার তৃতীয় ধাপে দিচ্ছে ৪০ কোটি ডলার।
বর্তমানে চট্টগ্রামের দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন রয়েছে। সেখান থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার নতুন সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারের অগ্রাধিকার বা ফাস্ট ট্র্যাক তালিকার এ প্রকল্পের আওতায়।
এর মাধ্যমে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন হবে। এ রুটে রেল চলাচল শুরু হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে রেলওয়ের অংশীদারিত্ব বাড়বে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের সঙ্গে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরকে যুক্ত করা সম্ভব হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আগামী ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গত মে মাসে প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে এ পথে রেল চলাচল শুরু হবে বলে জানান।
কমেন্ট