১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৭৫ টাকা

১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৭৫ টাকা

দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে এবার ৭৫ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। 

ঘোষিত নতুন দর সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হবে। জুলাইয়ের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯৯ টাকা। জুনে এই দাম ছিল ১ হাজার ৭৪ টাকা। 

এ হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জুলাই মাসে এলপিজির দাম ৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। 

এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালি রান্নার কাজে। 

সোমবার বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর জানানো হয়। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে সব জায়গায় কার্যকর হতে দেখা যায় না। 

বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন নতুন এই দর ঘোষণা করেন। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। 

প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। 

বিইআরসির নতুন দর বলছে, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৮৩ টাকা ২১ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা। এই হিসেবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। 

আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৪৬ টাকা ৫৯ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৫০ টাকা ৯ পয়সা। 

রাজধানীতে যেসব ভবনে সরকারি কোম্পানি তিতাসের সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাসলাইনের সংযোগ নেই, সেসব ভবনের বাসিন্দারা এলপিজি ব্যবহার করেন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ এলপিজির ওপর নির্ভরশীল। 

বাজারে সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানাতেও এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে। 

বিইআরসির বলছে, সৌদি আরামকো জুলাই মাসের জন্য প্রতি টন প্রোপেন ৪০০ ডলার এবং বিউটেন ৩৫০ ডলার দাম নির্ধারণ করেছে। তাতে ৩৫:৬৫ অনুপাতে এই দুই উপকরণের মিশ্রণের প্রতি টনের দাম কমে ৩৮৩ দশমিক ৭৫ ডলার হয়েছে। 

সেই হিসাবে বেসরকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির মূসকসহ (ভ্যাট) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৩ টাকা ২১ পয়সা। 

তাতে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪৫৭ টাকা, ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১০৪০ টাকা, ১৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১২৪৮ টাকা, ১৬ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৩৩১ টাকা, ১৮ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৪৯৮ টাকা, ২০ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৬৬৪ টাকা, ২২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৮৩১ টাকা, ২৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২০৮০ টাকা, ৩০ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২৪৯৬ টাকা, ৩৩ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২৭৪৬ টাকা, ৩৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২৯১২ টাকা, ৪৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৭৪৪ টাকা পড়বে। 

আর রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা এলপিজির দাম পড়বে মূসকসহ ৭৯ টাকা ৯৮ পয়সা। 

ভোক্তা পর্যায়ে যানবাহনের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত অটো গ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৪৬ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

 

 

 

রেমিটেন্সের পর রপ্তানি আয়েও চমক পরবর্তী

রেমিটেন্সের পর রপ্তানি আয়েও চমক

কমেন্ট