টিসিবির চাল বিক্রি রোববার থেকে, কেজি ৩০ টাকা

টিসিবির চাল বিক্রি রোববার থেকে, কেজি ৩০ টাকা

১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৭০ টাকা ধরে এক কেজি চিনি এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল পাবেন উপকারভোগীরা।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি কার্ডের নিয়মিত পণ্যগুলোর পাশাপাশি এবার যোগ হলো চাল। 

খোলা বাজারে বিক্রি কার্যক্রম ওএমএসের জন্য বরাদ্দ করা চাল থেকে পাঁচ কেজি করে দেওয়া হবে এই কার্ডের উপকারভোগীদের। প্রতি কেজির দাম নেওয়া হবে ৩০ টাকা। 

রোববার রাজধানীর উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরে আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল কনভেনশন শপিং সেন্টারের পেছনে টিসিবি আবাসিক এলাকায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নতুন এই কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।  

শনিবার টিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনির পাশাপাশি টিসিবির পণ্য তালিকায় প্রতিকেজি ৩০ টাকা দরের ৫ কেজি করে চাল থাকবে।  

চলতি মাসে মসুর ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে কমে ৬০ টাকা করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতি মাসে বিক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই মাসের জন্য ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে টিসিবি। রোববার থেকে সারা দেশের ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। 

এতে প্রথমবারের মতো ৩০ টাকা কেজি দরে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। 

সবমিলিয়ে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী টিসিবির গ্রাহক জুলাই মাসে ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৭০ টাকা কেজি ধরে এক কেজি চিনি এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। 

চাল যুক্ত হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষদের বাজার খরচ আরও কিছুটা কমবে। টিসিবির হিসাবে এই মুহূর্তে রাজধানীতে মোটা চালের দাম ৪৮ টাকার নিচে নেই। মাঝারি চালের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আর সরু চালের দাম ৬০ থেকে ৭৫ টাকা।

নিত্যপণ্যের দরের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ২০২২ সালের ২০ মার্চ স্বল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। 

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পাওয়া ৩৮ লাখ ৫০ হাজার সুবিধাভোগীর সবাইকেই দেওয়া হয় এই কার্ড। এর সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয় ৬১ লাখ ৫০ হাজার পরিবার। 

সব মিলিয়ে এক কোটি পরিবার এখন ফ্যামিলি কার্ডের আওতায়। 

ফ্যামিলি কার্ড সেবা উদ্বোধনের দুই দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, “এক কোটি কার্ড মানে এতে অন্তত প্রতি পরিবারে ৫ জন করে যোগ করলে পাঁচ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এ সুযোগ পাবে।” 

সরকারের বিবেচনায় নিম্ন আয়ের প্রায় প্রতিটি পরিবারই এই সুবিধা পাচ্ছে। 

টিসিবির তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রথমবারের মতো পরিবার  প্রতি ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।” 

এত দিন সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি ও পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করলেও চাল বিক্রি করত না টিসিবি। তবে গত জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও বিক্রির ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সে অনুসারে জুলাই মাস থেকেই চাল বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। টিসিবিকে ভর্তুকি মূল্যের এই চাল সরবরাহ করছে খাদ্য অধিদপ্তর। 

গত জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে মসুর ডালের দাম ১০ টাকা কমেছে। জুন মাসে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ছিল ৭০ টাকা। টিসিবি বলেছে, বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে ডালের দাম কমানো হয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেল ও চিনির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকেও পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারী ব্যক্তিরা।

নতুন সিএজি নুরুল ইসলাম পরবর্তী

নতুন সিএজি নুরুল ইসলাম

কমেন্ট