বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ভারতীয়রা: প্রণয় ভার্মা

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ভারতীয়রা: প্রণয় ভার্মা

মঙ্গলবার এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: এফবিসিসিআই

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য সম্ভাবনার দিকটি বিবেচনায় নিয়ে ভারত বর্তমানে আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্যও আগ্রহী বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি  জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রণয় ভার্মা। এ সময় দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। 

এফবিসিসিআই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জসিম উদ্দিন বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও জোরদার করার সুযোগ রয়েছে। ভারতে রপ্তানি করার মতো বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনাময় পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। তাই বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। 

বাংলাদেশের তৈরি টাইলস, সিরামিকস, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, বাইসাইকেলসহ বেশ কিছু পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, “এই পণ্যগুলো বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করতে পারে।”

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে আলাপকালে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের অনেক সুযোগ রয়েছে। 

“প্রয়োজনে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভারতের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এতে সেখান থেকে পণ্য উৎপাদন করে সহজেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।”
 
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক’ বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। 

কোভিড-১৯ উদ্ভূত বাধা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে অভূতপূর্ব হারে প্রায় ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৮ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। 

২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে রপ্তানি ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। 

এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। 

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাশের দেশটিতে ২১২ কোটি ৯৫ লাখ (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা।  

এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানি থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়নি।  

২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে পণ্য রপ্তানি থেকে ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছিল। 

সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, প্রীতি চক্রবর্তী, সার্ক চেম্বারের সহসভাপতি শাফকাত হায়দার প্রমুখ। 

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীও ৫% প্রণোদনা পাবেন পরবর্তী

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীও ৫% প্রণোদনা পাবেন

কমেন্ট