দ্রুত উন্নয়ন দেখে বিস্মিত ও আনন্দিত জাপানের মন্ত্রী
মেট্রোরেলের উত্তরা নর্থ স্টেশন পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাপানের মন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মধ্যে এটাই আমার প্রথম সফর। বাংলাদেশ এত দ্রুত উন্নয়ন করছে দেখে আমি খুবই অবাক ও আনন্দিত হয়েছি।”
ঢাকা সফররত জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা বাংলাদেশের 'দ্রুতগতির উন্নয়ন' দেখে বিস্ময় ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, “সত্যিই অবাক আমি। বাংলাদেশ সত্যিই দেখিয়ে দিয়েছে।”
জাপান সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হওয়া বাংলাদেশের মানুষের বহুল প্রতিক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প মেট্টোরেল এখন রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও ছুঁটছে; কিছুদিনের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত ছুঁটবে। শুধু এই মেট্টোরেল নয়, ৫০ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতিটি ধাপে অবদান রেখে চলেছে জাপান।
আর সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা সাজাতে বলেছেন জাপানের মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা।
রোববার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক রিলেশন ফর দ্য নেক্সট ফিফটি ইয়ার্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার মেট্টোরেল প্রকল্পের কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা।
মেট্রোরেলের উত্তরা নর্থ স্টেশন পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাপানের মন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মধ্যে এটাই আমার প্রথম সফর। বাংলাদেশ এত দ্রুত উন্নয়ন করছে দেখে আমি খুবই অবাক ও আনন্দিত হয়েছি।”
“সত্যিই অবাক আমি। বাংলাদেশ সত্যিই দেখিয়ে দিয়েছে,” বলেন তিনি।
ইয়াসুতোশি নিশিমুরা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমর্থনে জাপানের প্রতিশ্রুতির কথাও জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।
উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে পল্লবী গিয়ে পুনরায় উত্তরা নর্থ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোতে ভ্রমণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাপানের মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এটা বেশ আরামদায়ক এবং খুব দ্রুত ছিল। ঢাকা মেট্রোরেল বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানি সহযোগিতার প্রতীক। আমি আশা করি ঢাকার মানুষ এটি পছন্দ করবেন।”
মেট্রোরেলের মতো চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে জাপান নতুন জাপানি প্রযুক্তি সরবরাহ করবে বলেও উল্লেখ করেন ইয়াসুতোশি নিশিমুরা।
এ সময় জাপানের মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মেট্রোরেল ছাড়াও ইয়াসুতোশি নিশিমুরা জাপান সরকারের অর্থায়নে আরেকটি বাস্তবায়নাধীন বড় প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করেন।
কমেন্ট