৩ মাসে দেশে বেকার কমেছে ৯০ লাখ
দেশে বেকারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত এপ্রিল-জুন সময়ে সব মিলিয়ে দেশে ২৫ লাখ মানুষ বেকার ছিলেন। এর আগের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। ফাইল ছবি
নানা সংকটের মধ্যে একটি সুসংবাদ দিয়েছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস। সংস্থাটি বলেছে, দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে; তিন মাসের মধ্যে এই সংখ্যা প্রায় এক লাখ কমেছে।
রোববার সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩–এর এপ্রিল-জুন সময়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। তাতে দেখা যায়, দেশে বেকারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত এপ্রিল-জুন সময়ে সব মিলিয়ে দেশে ২৫ লাখ মানুষ বেকার ছিলেন। এর আগের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার।
বিবিএসের এই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে দেশে বেকার কমেছে ৯০ হাজার।
২০২২ সালের শেষ তিন মাসে অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশে বেকার ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার।
সবশেষ এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের চেয়ে বেকারের হার কিছুটা কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৪১। এর আগের প্রান্তিকে এই হার ছিল ৩ দশমিক ৫১।
বিবিএস বলছে, এখন বেকারদের মধ্যে ১৬ লাখ ৭০ হাজার পুরুষ ও নারী অর্ধেক ৮ লাখ ৩০ হাজার।
বেকার লোকের হিসাবটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী করে বিবিএস। আইএলওর সংজ্ঞা অনুযায়ী, গত ৩০ দিন ধরে কাজপ্রত্যাশী একজন মানুষ যদি সর্বশেষ সাত দিনে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কাজ করার সুযোগ না পান, তাহলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হবে।
এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “এপ্রিল-জুন সময় গ্রামগঞ্জে কাজের সুযোগ বেড়েছে, প্রতিবেদন তাই নির্দেশ করছে। এ সময়ে মৌসুমি পেশায় অনেকে নিয়োজিত থাকেন।”
কাজের মধ্যেই নেই কিন্তু বেকার হিসেবে চিহ্নিত হন না, এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ, বয়স্ক, কাজ করতে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও গৃহিণীরা এই তালিকায় আছেন। বর্তমানে এমন জনগোষ্ঠী আছেন ৪ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার জন।
জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের চেয়ে প্রায় ১০ লাখ এমন জনগোষ্ঠী বেড়েছে। এ তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা তিন গুণ বেশি।
এপ্রিল-জুন সময়ে জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এখন দেশে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ আছেন। এর মধ্যে কাজে নিয়োজিত আছেন ৭ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার মানুষ।
সার্বিকভাবে কর্মজীবী নারী-পুরুষের মধ্যে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার পুরুষ ও ২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার নারী।
১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৪টি খানা থেকে বছরব্যাপী তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই সব তথ্যের ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ করা হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ শুরু করেছে বিবিএস। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ করতে হবে।
সেই শর্ত পূরণ করতে প্রতি তিনমাস অন্তর কর্মসংস্থানের তথ্য প্রকাশ করছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।
গত ৩ মে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের তথ্য প্রকাশ করেছিল বিবিএস। রোববার করেছে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের তথ্য।
কমেন্ট