গ্রামের বেকারদের কর্মসংস্থানে ৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক

গ্রামের বেকারদের কর্মসংস্থানে ৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক

রোববার বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান এবং বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক চুক্তিতে সই করেন। ছবি: এআরএইচ ডটকম

বাংলাদেশের গ্রামীণ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।

বর্তমান বিনিময় হার (১০৯ টাকা ৫০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা।

এই অর্থে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ এলকার ৯ লাখ জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী।

রোববার বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান এবং বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক চুক্তিতে সই করেন।

বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইকোনোমিক অ্যাকসিলারেশন অ্যান্ড রেজিলেন্স প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ দেবে ওয়াশিংটন ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থাটি। প্রকল্পের আওতায় বেকার যুবকদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান লাভে বাধা দেয় এমন বিষয়গুলো দূর করা হবে।

“এটি গ্রামীণ যুবকদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ, বিকল্প শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা তৈরির কাজে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি বিভিন্ন দক্ষতা বিকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করবে এবং বাজার-চালিত ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যে অনলাইন ও অফলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের বিষয়ে শিক্ষা দেবে।”

গ্রামীণ যুবকদের বিশেষ করে নারীদের সুবিধাজনক অবস্থানে নেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে। উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক অর্থায়ন এবং পরামর্শ সহায়তাও দেওয়া হবে। এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবে।

‘তরুণরাই যে কোনো দেশের ভবিষ্যৎ’ মন্তব্য করে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুসজ্জিত প্রতিযোগিতামূলক কর্মীবাহিনী তৈরি করা হবে। যেখানে কোনো তরুণকে বাদ দেওয়া হবে না। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার।”

“প্রকল্পটি দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষার ধারাবাহিকতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটি শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান অর্জনে বাধা দেয় এমন বাধাগুলো দূর করতে সাহায্য করবে। এটি গ্রামীণ যুবকদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ, বিকল্প শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করবে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের আওতায় নেই, এমন ধরনের গ্রামীণ যুবাদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, বিকল্প শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদানে তারা এ ঋণ দিচ্ছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন এবং বাজার চাহিদানির্ভর বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন ব্যবসার ওপর প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করতেও সহায়তা করবে সংস্থাটি।

ইআরডি সচিব শরিফা খান বলেন, সরকার যুবাদের, বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এ প্রকল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ভারত: প্রণয় ভার্মা পরবর্তী

বাংলাদেশে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ভারত: প্রণয় ভার্মা

কমেন্ট