পোশাকশিল্পে কার্বন নিঃসরণ ৩০% কমানোর ঘোষণা বিজিএমইএ’র
সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান রোববার এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, “রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি আমরা।” ছবি: বিজিএমইএ
২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পে কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে খাতটির শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান রোববার এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, “রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি আমরা।”
তিনি বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় বিজিএমইএর টেকসই রূপকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানো, টেকসই কাঁচামালের ব্যবহার ৫০ শতাংশে উন্নীত করা, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ৫০ শতাংশ কমানো, ২০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং ৩০ শতাংশ বন উজাড় হ্রাস করা।”
রাজধানীর গুলশানে সিক্স সিজন হোটেল ‘দ্য কেস ফর জাস্ট ট্রানজিশনস ইন এনার্জি, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ফারুক হাসান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য ইমরান রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ প্রমুখ।
বিজিএমইএর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতের হুমকি নয়, এটা এখনই ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে কার্বন নির্গমন হ্রাস করা। পরিবেশদূষণ কমাতে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়াও প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ব্র্যান্ডগুলো যখন উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করছে, তখন সরবরাহব্যবস্থায় কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ব্র্যান্ডগুলোর।
ফারুক হাসান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। দেশে বর্তমানে ইউএসজিবিসির সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যা ২০০। তার মধ্যে সর্বোচ্চ মান, অর্থাৎ লিড প্লাটিনাম সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা ৭৩টি।
পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো প্রচলিত কারখানার তুলনায় ৪০ শতাংশ কম কার্বন নির্গত করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কমেন্ট