দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

এই অর্থে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং শিল্প খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
বর্তমান বিনিময় হার (১০৯ টাকা ৫০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৫ কোটি টাকfG

এই অর্থে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নতুন এই প্রকল্পটি বাংলাদেশকে প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নত দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতাকে বাড়াতে সহায়তা করবে।

পাশাপাশি শিল্পখাতে প্রতিযোগিতা ও আয় বাড়াবে প্রকল্পটি।

রোববার বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান এবং এডিবির পক্ষে সংস্থাটির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবাউ নিং চুক্তিতে সই করেন।

এডিবি ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততায় ২০২৪ থেকে ২০৪১ মেয়াদে স্কিল ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

“উৎপাদন খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং শিল্প খাতে বর্ধিত কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করা এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। অর্থ বিভাগ এ কর্মসূচির তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে।”

এই প্রকল্পের আওতায় দুর্বল গোষ্ঠী যেমন- প্রতিবন্ধী, ট্রান্সজেন্ডার এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের জন্য বিশেষ দক্ষতা প্রোগ্রাম তৈরি করা হবে।
এডিবি জানায়, দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প খাতে যেসব নারী শ্রমিক অটোমেশনের কারণে চাকরি হারানোর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের জন্য বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করা হবে।

জিয়াংবাউ নিং বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশকে প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নত দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতাকে বাড়াতে সহায়তা করবে এই প্রকল্প। পাশাপাশি শিল্পখাতে প্রতিযোগিতা ও আয় বাড়াবে।”

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এর সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে এই উন্নয়ন সংস্থা তাদের আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে দিয়ে আসছে।

বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত-বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানি সম্পদ এবং সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

পোশাকশিল্পে কার্বন নিঃসরণ ৩০% কমানোর ঘোষণা বিজিএমইএ’র পরবর্তী

পোশাকশিল্পে কার্বন নিঃসরণ ৩০% কমানোর ঘোষণা বিজিএমইএ’র

কমেন্ট