ইআরএফ সভায় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ: বড় বড় প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া ঠিক নয়

ইআরএফ সভায় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ: বড় বড় প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া ঠিক নয়

প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ বড় বড় প্রকল্প সম্পর্কে আরও বলেন, “পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে যান চলাচল মসৃণ হয়েছে। সবাই আরামে বাসে করে চলে যাচ্ছে। এতে সবাই খুশি। এটি প্রেস্টিজ প্রকল্প। শুধু এই সুবিধার হিসাব করলে প্রকল্পের খরচ অর্থনৈতিক বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত হয় না।” ছবি: সংগৃহীত

স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও মেট্টোরেলের পর বহুল প্রতীক্ষিত দ্রুতগতির উড়ালসড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) চালু নিয়ে দেশে যখন ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে, তখন ‘বড় বড় প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া ঠিক নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। 

তিনি বলেছেন, “এখন মর্যাদা বাড়ানোর প্রকল্প (প্রেস্টিজ প্রজেক্ট) করার সময় নয়। এখন গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সময়। মেট্রোরেল, কক্সবাজার রেলপথ—এসব অন্য সময় করলেও হবে। এই মুহূর্তে বড় প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নয়। গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। এত বড় বড় প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া ঠিক নয়।” 

শনিবার ঢাকায় কর্মরত অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক এ সব কথা বলেন।

প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ বড় বড় প্রকল্প সম্পর্কে আরও বলেন, “পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে যান চলাচল মসৃণ হয়েছে। সবাই আরামে বাসে করে চলে যাচ্ছে। এতে সবাই খুশি। এটি প্রেস্টিজ প্রকল্প। শুধু এই সুবিধার হিসাব করলে প্রকল্পের খরচ অর্থনৈতিক বিবেচনায় যুক্তিযুক্ত হয় না।”  

“দেখতে হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কী পরিমাণ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হলো, কর্মসংস্থান হলো, রপ্তানিমুখী বিনিয়োগ কতটা হলো। যেমন ভিয়েতনামে প্রতিবছর ১০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। তাদের সিংহভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পে। এতে আর্থিক লেনদেনে ভারসাম্য ঠিক থাকে, দায়দেনা পরিশোধে সমস্যা হয় না।”  

মেগা প্রকল্প করার সমালোচনা করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমরা বড় বড় প্রকল্প করছি। এসব প্রকল্প ঋণের টাকায় করা হচ্ছে। এভাবে একের এক ঋণের টাকায় বড় প্রকল্প নিই, তাহলে একসময় আমেরিকার মতো হয়ে যাব।”  

“কিন্তু ঋণ পরিশোধ তো করতে হবে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে ঋণের হার এখনো তেমন উদ্বেগের কিছু নয়, কারণ তা জিডিপির ৩০ শতাংশের মধ্যেই আছে। কিন্তু গত তিন বছরে বিদেশি ঋণ ৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে।  

“আর যদি ঋণ না-ও নিই, তাহলে ৩-৪ বছর পর বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। নতুন ঋণ নিলে আরও বাড়বে। যেসব ঋণ পরিশোধ করা হবে, এর পরিষ্কার পরিকল্পনা থাকতে হবে। কোন ধরনের প্রকল্প নেওয়া হবে, তা-ও বিবেচনায় রাখতে হবে,’ বলেন এই অর্থনীতিবিদ।  

শনিবার বিকেলে ঢাকায় দ্রুতগতির উড়ালসড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

 

উদ্বোধনের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন দেশের যোগাযোগ খাতের জন্য আরেক মাইলফলক। এটি (উড়ালসড়ক) যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার বাসিন্দাদের ও সারা দেশের জনগণকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন এবং এটি রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। 

তিনি বলেন, “এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় ঢাকাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে যানজট কমাতে বিরাট ভূমিকা পালন করবে।” 

তার আগে দুপুরে ইআরএফ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মেগা প্রকল্প করার সমালোচনা করেন। 

২০৪১ সালের পরিকল্পনা নিয়ে একটি কমিটিতে তিনি ছিলেন, একথা উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “সেখানে পরিকল্পনা কমিশন অনেক তথ্য দিয়েছে উন্নত দেশ হতে কি কি করতে হবে। উড়াল সড়কের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে এগুলোর খরচ অনেক। ঋণ নিয়ে করতে হয়। এর ব্যবস্থাপনায় অনেক ব্যয় ও দক্ষতাও দরকার।” 

“কিন্তু যেগুলো বিনা খরচে করা যায়, সেগুলো করবো না কেন? বিশেষ করে পরিবহনের শৃংখলা, নদী দখল বন্ধ। নিম্ন মানের অবকাঠামো উন্নয়ন বন্ধ করা এবং অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া।” 

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেন, এই সড়কের দুই পাশে ব্যাপক বসতি ও বাজার রয়েছে। 

ব্যাংকমালিকেরা যদি ভল্ট খুলে টাকা নিয়ে যান, কে কী করবে 

মত বিনিময় সভায় দেশের ব্যাংকিং খাত, টাকা পাচার, সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এই অর্থনীতিবিদ। 

তিনি বলেন, “ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেল। এই টাকা তো ব্যাগে করে নিয়ে যায়নি কেউ। ব্যাংকিং সিস্টেমে টাকার গতিপথ অনুসরণ করলেই বোঝা যাবে, কে বা কারা কোথায় নিয়ে গেছে। বেনামি হলেও অর্থ প্রবাহের ‘ফুটপ্রিন্ট’ থাকে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক আরও বলেন, “দেখলাম, হল-মার্কের একজনকে জেলগেটে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাহলে এত ডিজিটাল সিস্টেম হলো, কিন্তু ধরতে পারলাম না।” 

ব্যাংকমালিকদের টাকা পাচার সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “ব্যাংকমালিকেরা যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যাংকের ভল্ট খুলে টাকা নিয়ে যান, তাহলে কে কী করবে?” 

এ ছাড়া বিদেশে ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউস খুলে টাকা পাচারের ঘটনা ঘটে বলে তিনি মনে করেন। 

পুঁজি পাচার নিয়ে আরও বিস্তারিত কথা বলেন দেশের খ্যাতিমান এই অর্থনীতিবিদ। বলেন, “কানাডার বেগমপাড়া সত্য, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম সত্য। সিঙ্গাপুরে দ্বৈত নাগরিকত্ব, বড় আবাসন ব্যবসা, চেইন হোটেলের মালিক হয়েছেন। দ্বৈত নাগরিক বলে কোথা থেকে অর্থ এল, তা দেখে না সিঙ্গাপুর। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এখন এমন কিছু অর্থপ্রবাহের খোঁজ করা হয়।”

তিনি বলেন, “কোনো দেশে অনিশ্চয়তা বাড়লে অর্থ পাচার বেড়ে যায়। অর্থের মালিকেরা বিভিন্ন নিরাপদ দেশে অর্থ নিয়ে যান। আগে বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার হতো। 

“এখন নতুন নতুন উপায় তৈরি হয়েছে। যেমন দ্বৈত নাগরিকত্ব, স্থায়ী বাসিন্দা। এ ছাড়া ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানির সময় তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে অর্থ রেখেও দেশ থেকে অর্থ পাচার করেন।”

 

অর্থনীতিতে এখন তিন সংকট 

অর্থনীতির চলমান সংকটের প্রসঙ্গটিও আলোচনায় আসে। তিনি মনে করেন, অর্থনীতিতে এখন তিন ধরনের সংকট আছে। এগুলো হলো ডলার-সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি। 

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “এখন মর্যাদা বাড়ানোর প্রকল্প (প্রেস্টিজ প্রজেক্ট) করার সময় নয়। এখন গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সময়। মেট্রোরেল, কক্সবাজার রেলপথ—এসব অন্য সময় করলেও হবে। 

“এই মুহূর্তে বড় প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নয়। গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। এত বড় বড় প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া ঠিক নয়।” 

১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “মূল্যস্ফীতি বাড়লে বৈষম্য বেড়ে যায়। শ্রমিক-মজুরের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। একবার মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে যত মুদ্রানীতি করা হোক না কেন, সবাই যদি মনে করে মূল্যস্ফীতি বাড়বে, তাহলে অবশ্যই মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এটা প্রত্যাশাজনিত মূল্যস্ফীতি।” 

শুধু কানাডা সুবিধা দিলে হবে না

ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ করবে। ফলে তার পরে বিশ্ববাণিজ্যে অনেক সুবিধা থাকবে না। কিন্তু উত্তরণের বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে' বলে মনে করেন তিনি। 

তিনি বলেন, “কানাডা বাংলাদেশকে সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু, শুধু কানাডা সুবিধা দিলে হবে না। ভিয়েতনাম ২৫ থেকে ৩০টি দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা কি ? বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (সাফটা)-তে আছে। কিন্তু, সাফটা কাজ করেনি।” 

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে ১৩০টি স্বল্পোন্নত দেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়েছে উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “বাংলাদেশও এরমধ্যে ছিল। কিন্তু শ্রম অধিকার, মানবাধিকার ইস্যুতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশকে এই সুবিধা থেকে বের করে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এই সুবিধা তৈরি পোশাকের জন্য দরকার না হলেও হস্তশিল্প, রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য দরকার।” 

তিনি বলেন, বাণিজ্য চুক্তিগুলো রাজনীতির সাথে যুক্ত। তাই এ বিষয়ে জাতীয় নীতি থাকা প্রয়োজন। 

রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় গলদ ছিল 

ডলার এবং বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার বিভিন্ন দিক নিয়ে তার মত দেন এই অর্থনীতিবিদ। 

তিনি বলেন, “রিজার্ভ ব্যবহারের জন্য না, এটি সক্ষমতার বার্তা দেয়। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছিল। আমরা যত ইচ্ছা প্রকল্প নিচ্ছিলাম। আমাদের তো যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। কোনো অসুবিধা নেই।”

“ভবিষ্যতে যে হঠাৎ করে কোনো চাপ আসতে পারে, সেটা চিন্তায় ছিল না। এর মাধ্যমে সারা দুনিয়াকে জানানো হয়, আমাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল আছে। যাতে এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে। আমরা ভালো করছি বলে আমরা বিনিময় হারগুলো সময় মতো সমন্বয় করিনি।” 

তার মতে, রিজার্ভটা রাখা হয় এ কারণে যাতে বিদেশিদের আস্থা ও বিনিয়োগ বাড়ে। এটা কখনোই নিজেদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয় না। এটা যেন আপদের সময়ে কাজে লাগে। 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, “রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় গলদ ছিল। তার মাশুল দিতে হচ্ছে। নতুন নতুন নানা কৌশলে পুঁজি পাচার হচ্ছে, কিন্তু বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ নেই। ব্যাংক খাত থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে, ধরা যাচ্ছে না।’ 

আক্ষেপের সুরে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “অপ্রিয় সত্য কথা বললে তা পছন্দ করে না সরকার। আমরা কখনো সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অনুযায়ী চলিনি। আমাদের আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল।” 

কোনো ব্লকে যোগ দেওয়া ঠিক হবে না

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “ব্রিকস এত সহজে সফল হবে না। কারণ, প্রতিটি দেশের আলাদা স্বার্থ আছে। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের উচিত হবে না চীনের দিকে ঝুঁকে যাওয়া। বাংলাদেশকে ভারসাম্যপূর্ণ নীতি নেওয়া উচিত।” 

“কারণ, ভারত ও চীন থেকে কাঁচামাল এনে পণ্য বানাই। সেই পণ্য চীন ও ভারতে রপ্তানি না করে ইউরোপ-আমেরিকায় রপ্তানি করা হয়। আমাদের নির্ভরতা দুই দিকেই।” 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্যাহ মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ২০ কোটি ডলার অনুমোদন ‍দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক পরবর্তী

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ২০ কোটি ডলার অনুমোদন ‍দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক

কমেন্ট